বিদেশ ফেরত উদ্যোক্তা ছুই তি ফান
ষোল বছর বয়সে ছুই তি ফান যুক্তরাষ্ট্রে যান পড়াশোনা করতে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্টিন শাখা স্কুলে অর্থ ও গণিত বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। স্নাতক হওয়ার পর তিনি বেশ কয়েকটি সুপরিচিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ২০১৬ সালে তিনি চীনে ফিরে আসেন। তিনি আবিষ্কার করেন যে, শেনচেনের বেসবল শিল্পে একটি বড় উন্নয়নের সুযোগ এসেছে। ক্রস-স্ট্রেট স্টুডেন্ট বেসবল লিগের ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিতে শেনচেন ১৫ কোটি ইউয়ান ব্যয় করে একটি ‘বেসবল শহর’ তৈরি এবং একটি উচ্চ-মানের বেসবল স্টেডিয়াম নির্মাণ করে। তখন ছুই তি ফান মনে করেন, তার কাজ করার সুযোগ এসেছে। তাই তিনি দৃঢ়তার সাথে তার উচ্চ বেতনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে বেসবলের বিশেষ ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
তিনি বলেন,
“২০১৭ সালে আমি শিল্প সৃষ্টি করতে শুরু করি। ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে আমার কোম্পানি লোকসান দেয়। আমাদের কোম্পানি ব্রেক-ইভেন পয়েন্টে আসে ২০২০ সালের জুন মাসে। এতদিন কোনও লাভ হয়নি। আসলে তখন চাপ ছিল অনেক বেশি। পরিবারের সদস্যরা আমাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করতেন। বন্ধুরাও ভাবতেন যে, আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে না কেন?”
যুক্তরাষ্ট্রে অর্জিত আর্থিক জ্ঞান, গণিতবিদ্যার শিক্ষা এবং আর্থিক শিল্পে কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার পর ছুই তি ফান একগুঁয়েভাবে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের উপর বিশ্বাস করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঝুঁকিও নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি বলেন,
“বেসবল নিয়ে শিল্প সৃষ্টি করা আমার স্বপ্ন হলেও একটি ক্লাব বা কোম্পানি পরিচালনার জন্য মুনাফা অর্জন করতেই হয়।”
নিজের ক্লাবটির বিকাশ বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে ছুই তি ফান উচ্চ আদর্শ ধারণ করে চলেছেন। তিনি মনে করেন না, বেসবল স্পোর্টস ক্লাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ; এটি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা।
তিনি বলেন, “আমি শৈশব থেকেই বিভিন্ন খেলাধুলা থেকে উপকৃত হয়েছি। তাই আমি এই স্বাস্থ্যকর জীবনধারাকে আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আমার আদর্শ উপলব্ধি করার জন্য বেসবল একটি ভাল সূচনাবিন্দু বলে আমি মনে করি।”
লিলি/রহমান