বিদেশ ফেরত উদ্যোক্তা ছুই তি ফান
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে আমরা বিদেশ ফেরত উদ্যোক্তা ছুই তি ফান সম্পর্কে জানবো।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধিকতর সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী তাদের যৌবন ও ঘামের অবদানের কারণে চীনে ফিরে আসা বেছে নিয়েছেন। তারা মাতৃভূমির বিশাল ভূমিতে তাদের স্বপ্নের বীজ বপন করেছেন। তাদের গল্পে আছে পরিবার, দেশ, বিশাল স্বপ্ন ও নিরলস পরিশ্রম। মাতৃভূমির সংস্কার ও উন্নয়নের মহান প্রচেষ্টায় তারা রচনা করেছেন তারুণ্যের সংগ্রামের এক একটি মর্মস্পর্শী গল্প। ছুই তি ফান তাদের মধ্যে অন্যতম।
ছুই তি ফান কুয়াংতোং প্রদেশের শেনচেন শহর থেকে এসেছেন। শেনচেন এমন একটি শহর যেখানে চীনের অন্য স্থানের আগে বেসবল শুরু হয়েছিল। বেসবল তার অনন্য কিশোর বয়সের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এটি তার বর্তমান উদ্যোক্তা-স্বপ্নও। তিনি বলেন,
“বেসবল হলো সেই ব্যাপার, যার সঙ্গে আমি শৈশব থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছি। আমার চরিত্রটি বেসবল দ্বারা তৈরি হয়ে থাকতে পারে। আমি শৈশব থেকেই দলীয়ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবং আমার সতীর্থদের স্কোর করতে সাহায্য করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে শিখেছি। একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সবার সাথে কাজ করতে শিখেছি।”
প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে থাকতে ছুই তি ফান বেসবল শিখতে শুরু করেন এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় শেনচেন শহরের প্রতিনিধিত্ব করে জাতীয় যুব বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। মাধ্যমিক স্কুলে থাকতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপে চীনের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বলেন, প্রতিটি পদক জিততেই ঘাম ঝরাতে হয়। জয়ের জন্য তার সমবয়সীদের মজার শীত ও গ্রীষ্মের ছুটি বিসর্জন দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টার তীব্র প্রশিক্ষণ নিতে হয়। প্রশিক্ষণ তাকে শৈশব থেকে কষ্ট দিয়েছে, কিন্তু বেসবল তার জীবনে যে পরিবর্তন এনেছে, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।