পাখির খাঁচা শিল্পী ছেন ল্য ছাই
ছেন ল্য ছাইয়ের বয়স এখন ৮১ বছর। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি চাচার কাছে পাখির খাঁচা তৈরি শিখতে শুরু করেন।
পাখির খাঁচা তৈরিকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা স্মরণ করে ছেন ল্য ছাই বলেন, “যখন ছেলেবেলায় পড়াশোনা করতাম, আমি হস্তশিল্প তৈরি করতে পছন্দ করতাম। পাখির খাঁচাও অন্যতম শৈল্পিক হস্তশিল্প।”
গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে হংকংয়ে খাঁচায় পাখি পালনের ধারা তেমন জনপ্রিয় ছিল না এবং পাখির খাঁচা তৈরি শেখা আরও কম জনপ্রিয় ছিলো। বেশি সংখ্যক মানুষ তখন চুল কাটা ও আসবাব তৈরির মতো কারুশিল্প বেছে নিতেন।
ছেন ল্য ছাই বলেন, “তখন অল্পবয়সী হলেও সূক্ষ্মভাবে বানানো পাখির খাঁচাটি যখন উপরে ঝুলতে দেখি, তখন আমার মনে একটা চিন্তা ভেসে ওঠে। সেটি হলো পাখির খাঁচা বানানোর মাস্টার যখন অবসরে যাবেন, তখন কী হবে? এই কারুকাজের উত্তরাধিকারী কে হবে? এই চিন্তা থেকেই আমি পাখির খাঁচা তৈরি শেখা বেছে নিয়েছিলাম।”
পাখির খাঁচা হলো বাঁশ, ছুরি, বার্নিশ ও ‘এক জোড়া হাতের’ উপর নির্ভর করে বাঁশ ও কাঠের কাজের সংমিশ্রণ।
একটি সাধারণ পাখির খাঁচা তৈরি করতে বাঁশের অন্তত ৪৮টি চটা ব্যবহার করতে হয় এবং অভিন্নতা ও ভারসাম্য অর্জনের জন্য প্রতিটি বাঁশের চটা সাবধানে তৈরি করতে হয়। অবশেষে বাঁশকে কেরোসিনের বাতি দিয়ে গরম করে খাঁচা তৈরির উপযোগী রেডিয়ান তৈরি করতে হয় এবং তারপর পাখির খাঁচার নীচের ছোট গর্তগুলোর মধ্য দিয়ে এগুলো একে একে চলে যায়। খাঁচার নীচের প্যাটার্ন ও খাঁচার পায়া একজন পেশাদার মাস্টার দিয়ে খোদাই করার প্রয়োজন হয়। তাই একটি ভাল, শক্ত ও স্বচ্ছ পাখির খাঁচা সম্পূর্ণ করতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগে।