৩১তম সামার ইউনিভার্সিয়েডের প্রথম স্বর্ণজয়ী ছাও মাও ইউয়ান
তিনি বলেন, “এই প্রতিযোগিতা এমন একটি খেলা, যা আমাকে আমার ক্যারিয়ারজুড়ে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমি যত বেশি এগিয়ে যেতে থাকি, ততই এটিকে অবিস্মরণীয় বোধ করি। এখন আমি নিজের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ যে,তখন হাল ছেড়ে দেইনি। তারপর থেকে আমার কাজ করার ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। আমি ফলাফল নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না, কেবল প্রতিযোগিতায় আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। কঠোর পরিশ্রমের পর ফল আসবেই। এমন নয় যে, ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন না, তাই বন্ধ করে দিবেন। ফলাফল নিজের পরিশ্রমের বিনিময়ে পাওয়া যাবে।”
কোচ ইউ বো’র চোখে ছাও মাও ইউয়ান একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান, শৃঙ্খল ও কঠোর পরিশ্রমী ক্রীড়াবিদ। একই প্রশিক্ষণের বিষয় তিনি অন্যদের তুলনায় দ্রুত শিখতে পারেন এবং একই রকম কঠিন বিষয় তিনি একই বয়সের শিশুদের চেয়ে দ্রুত সম্পন্ন করতে পারেন।
অসাধারণ প্রতিভার কল্যাণে ছাও মাও ইউয়ান তার যৌবনে অনেক চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন, কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের গ্রুপে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর থেকে তার নৈপুণ্য খুব সুষ্ঠু ছিলো না। তখনও তার মানসিকতার যথেষ্ট পরিবর্তন হয়নি এবং তার নৈপুণ্য স্থিতিশীল ও যথেষ্ট পরিপক্ক ছিল না। শক্তি থাকলেও প্রথম দু-তিন বছরে একবারও চ্যাম্পিয়ান হননি। অনেক সময় ধরে এই অবস্থা চলছিল, যা একজন ক্রীড়াবিদের জন্য খুব কষ্টকর। সৌভাগ্যের বিষয় হলো তিনি সফলতার সঙ্গে সেই কঠিন সময় অতিবাহিত করেছেন।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্শাল আর্টের প্রতি তার অবিরাম ও বিশুদ্ধ ভালবাসা নিয়ে ছাও মাও ইউয়ান ধীরে ধীরে আরও কৌশল রপ্ত করেন। নিজেকে আবার শুদ্ধ করতে শুরু করেন এবং ঠান্ডা মাথায় মার্শাল আর্টের উপর আরও মনোযোগ দিতে শুরু করেন।