৩১তম সামার ইউনিভার্সিয়েডের প্রথম স্বর্ণজয়ী ছাও মাও ইউয়ান
ক্রমাগত শেখার প্রক্রিয়ায় ছাও মাও ইউয়ান নিজেকে মার্শাল আর্টের প্রতি ভালবাসায় পূর্ণ দেখতে পান। কোচও বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান। তিনি প্রতিদিন বাসে করে মার্শাল আর্ট শিখতে নিজ এলাকা থেকে জেলায় যেতেন এবং তারপর অনুশীলন শেষ করার পর জেলা থেকে বাসে করে আবার বাড়িতে ফিরতেন। পরের দিন আবার তাকে স্কুলে যেতে হতো। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্শাল আর্ট শেখার পর তিনি যাতে আগামী দিনগুলোতেও ভালোভাবে অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারেন, সেজন্য তার পরিবার জেলা সদরে বাস করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় পরিবারের তিন সদস্য খুব ছোট একটি বাড়িতে থাকতেন। তাছাড়া, বহুবার বাসস্থান পরিবর্তনও করেছিলেন তারা।
ছাও মাও ইউয়ান বলেন, “মার্শাল আর্ট আমার কাছে কী অর্থ বহন করে, তা বর্ণনা করার জন্য সঠিক শব্দটি ব্যবহার করা খুবই কঠিন। এটি আমার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মার্শাল আর্ট আমাদের পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে।”
প্রতিভাবান ছাও মাও ইউয়ান স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছয় বা সাত বছর বয়সে প্রথমবার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় তিনি তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। এরপর নানা প্রতিযোগিতায় তিনি অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হন এবং সিছুয়ান প্রদেশের মার্শাল আর্ট সার্কেলে দ্রুত বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
২০০৭ সালে নান ছোং শহরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। প্রতিযোগিতার দু’দিন আগে হোটেলে যাওয়ার পথে দুর্ভাগ্যক্রমে তার মাথায় একটি তক্তার আঘাত লাগে, যেখানে ১০টির বেশি সেলাই লাগে। চিকিত্সক ও কোচ তাকে প্রতিযোগিতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললেও তিনি মাথায় ব্যান্ডেজ মুড়িয়ে রেখে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং জীবনের প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। একটানা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্শাল আর্ট অনুশীলন করছেন তিনি। তিনি যখন সেই প্রতিযোগিতার কথা ভাবেন, একেবারে স্পষ্টভাবে সেটা স্মরণ করতে পারেন।