ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের সেচ্ছাসেবকের জীবন
চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত সেচ্ছাসেবকদের শপথগ্রহণ সভায় ৩১তম ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের প্রায় ৫শ’ সেচ্ছাসেবকের প্রতিনিধিরা বিশ্বের জন্য দৃঢ় শপথ নেন। তারা প্রতিযোগিতার স্টেডিয়াম, সামার ইউনিভার্সিয়েডের ক্রীড়াবিদ গ্রাম, প্রধান মিডিয়া সেন্টার, উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান এবং বিমানবন্দর ও স্টেশনসহ নানা জায়গায় পেশাগত, বন্ধুত্বপূর্ণ ও দুর্দান্ত পরিষেবা দেওয়ার মাধ্যমে ৩১তম ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের সুষ্ঠু আয়োজনকে নিশ্চিত করছেন। তারা ছেংতু শহরের সৌন্দর্য বিশ্বের অতিথিদের কাছে তুলে ধরছেন।
ছাই তি দক্ষিণ-পশ্চিম পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে (Southwest Petroleum University) চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন। তিনি ৩১তম ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের সেচ্ছাসেবকদের একজন।
২০১৯ সালে তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, তখন ভাবতেও পারেননি তিনি একদিন ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হবেন এবং নিজের ভবিষ্যতও এর কারণে ক্রীড়ার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য হয়ে যাবে। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বেইজিং স্পোটর্স ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা করবেন। তিনি মনে করেন, ক্রীড়ার ক্ষেত্রে উন্নয়নের আশা জাগিয়েছে ছেংতু।
স্বেচ্ছাসেবক সেবা ছেংতু ইউনিভার্সিয়েডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছেংতু ইউনিভার্সিয়েডের নির্বাহী কমিটি ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে ছেংতুর প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ শুরু করে। তাদের মৌলিক ভাষা দক্ষতা এবং ইউনিভার্সিয়েড সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান-সংক্রান্ত লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা পাস করতে হয়।
সামার ইউনিভার্সিয়েডের সেচ্ছাসেবক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ছাই তি জানান, এর আগে সেচ্ছাসেবক হিসেবে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আঠারো বছর বয়সে তিনি শানসি ফেন ইয়াংয়ের ওয়াইন মেলার সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনার সময় তিনি সানশাইন ইয়ুথ ভলান্টিয়ার সোসাইটিতে যোগ দিয়েছিলেন।