চীনা শিক্ষার্থীদের তৈরি অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘হাতির শোকগাথা’
লি চিন চে এই অ্যানিমেশনের আরেকজন প্রধান সৃষ্টিকারী সিইউসির শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই পুরস্কার এবং সারা বিশ্বের তরুণ দর্শকদের সমাদর পাওয়া নিঃসন্দেহে উত্তেজনাপূর্ণ এবং তৃপ্তিদায়ক। আমি আরও বেশি ভাল অ্যানিমেশন তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাব।’
‘হাতির শোকগাথা’ নামের অ্যানিমেশনে মানুষ এবং প্রকৃতির সম্প্রীতিমূলক সহাবস্থানের সুন্দর দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাতে চীনের সংখ্যালঘু দাই জাতির বৃদ্ধ এবং হাতির আবেগ অনেক মনোমুগ্ধকর উপায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এ অ্যানিমেশন তৈরিতে অত্যাধুনিক থ্রি-ডি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এটি একটি সূক্ষ্ম এবং বাস্তব শিল্পকর্মের চেহারা এবং অনুভূতি চিত্রিত করেছে। শিল্পকর্মের চরিত্রের পারফর্মেন্স সমৃদ্ধ এবং চমৎকার হয়েছে। বিশেষ করে মানুষ এবং প্রাণীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া এবং চোখের যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি আন্তরিক এবং স্পর্শকাতর বর্ণনামূলক উত্তেজনা দেখা গেছে। এ শিল্পকর্ম নির্বাক কৌশল এবং অ্যানিমেশন ভাষা ব্যবহার করে চীনা চরিত্র এবং বিশ্ব দর্শকদের মধ্যে দূরত্ব গুছিয়েছে।
এই অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্মটি তৈরি হয়েছে এশিয়ান হাতির আকর্ষণ সবাইকে দেখানোর জন্য। এবং আশা করা হচ্ছে যে আরও বেশি লোক এশিয়ান হাতির জীবনযাত্রার দিকে মনোযোগ দেবে। পাশাপাশি, এটি প্রিয়জন হারানোদের কিছুটা সান্ত্বনা এবং উষ্ণতা দেবে।
এই অ্যানিমেশন সৃষ্টিতে অংশগ্রহণকারীরা চীনের ইউননান প্রদেশের স্থানীয় প্রাকৃতিক পরিবেশ ও লোক রীতিনীতিসহ আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বৈচিত্র্যময় ‘চীনা উপাদান’ সৃষ্টি করেছেন এবং দাই জাতির অনন্য মূল্যবোধ ও জীবনযাপন পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
ভবিষ্যৎ নিয়ে লু সি চিয়ে এবং লি চিন চে বলেন, তাদের দল অ্যানিমেশন সৃষ্টির পথে অবিচল থাকবে। পরবর্তীতে আরও প্রভাবশালী শিল্পকর্ম সৃষ্টি করার আকাঙ্ক্ষায় রয়েছেন তারা। তারা আশা করেন, ভবিষ্যতে চীনের অ্যানিমেশনে আরও বৈচিত্র্যময় শিল্প শৈলী এবং সমৃদ্ধ গল্পের থিম যোগ হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের অ্যানিমেশন শিল্পের বিভাজন ধীরে ধীরে পরিপক্ব হয়েছে। প্রযুক্তির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে এবং বিষয়বস্তুর গুণগত মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। নেটিজেনরা প্রায়ই ‘চীনা কমিকের উত্থান’ শব্দটি উচ্চারণ করেন এবং স্বীকার করেন যে চীনা অ্যানিমেশন আলোর দিকে এগুচ্ছে।
লিলি/এনাম