চীনা শিক্ষার্থীদের তৈরি অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘হাতির শোকগাথা’
সম্প্রতি স্টুটগার্ট ফেস্টিভাল অব অ্যানিমেটেড ফিল্মে কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটি অব চায়নার (সিইউসি) উদ্যোগে নির্মিত ‘হাতির শোকগাথা’ শ্রেষ্ঠ শিশু অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে।
মাত্র আট মিনিটের এই অ্যানিমেশনে মানুষ এবং পশুদের ৩০ বছরের মৈত্রী ও ভালোবাসা তুলে ধরা হয়। এতে কোনো কথোপকথন না থাকলেও বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মধ্যে একটি আবেদন সৃষ্টি করেছে।
‘হাতির শোকগাথা’ নামের অ্যানিমেশনে বলা হয়েছে যে ‘নানা’ নামের একটি বাচ্চা হাতি শিকারিদের হাত থেকে পালিয়ে গিয়েছে এবং ঘটনাক্রমে চীনের দাই জাতির একজন বৃদ্ধের সাথে দেখা হয় তার। সেই বৃদ্ধ লোক ছোট হাতি নানা’র ভাল যত্ন নেন এবং এর শরীরের দাগ সারিয়ে তুলেন। নানা ধীরে ধীরে মানুষের ভয় থেকে মুক্তি পেয়ে বৃদ্ধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তবে বৃদ্ধ স্পষ্টভাবেই জানেন যে শুধুমাত্র প্রকৃতিই নানার আসল বাড়ি, তাই তিনি একে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। ত্রিশ বছর পর নানা একটি বড় হাতি হয়ে ওঠে। অন্ধকারে নানা বৃদ্ধের শবযাত্রা অনুধাবন করেছে এবং দৃঢ়তার সাথে পাহাড় ও নদী পার হয়ে হাতিদের নেতৃত্বে বৃদ্ধের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
লু সি চিয়ে নামে এই অ্যানিমেশনের প্রধান সৃষ্টিকারী সিইউসির শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্টুটগার্ট ফেস্টিভাল অব অ্যানিমেটেড ফিল্মের জুরি বোর্ডের সদস্যরা আমাদের এ শিল্পকর্মের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছেন যে এই মুভিতে কোনো কথোপকথন নেই, তবে এর তথ্য বিশ্ব বুঝতে পারছে, যা সত্যিই সহজ কাজ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পুরস্কার প্রমাণ করেছে যে আমরা কেবল চীনা গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারি না, বরং আমাদের শিল্পকর্ম সাংস্কৃতিক পার্থক্য অতিক্রম করে সবার স্বীকৃতিও পেতে পারে।’