বাংলা

বিয়ের ছবির পিছনের গল্প

CMGPublished: 2023-06-22 11:22:46
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

আজকের অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে আমরা এক তরুণ কর্তৃক তার বৃদ্ধা দাদির বিয়ের ছবি তোলার গল্প শুনবো।

তরুণটি তার দাদির তত্ত্বাবধানে বড় হয়েছেন। তিনি এখনও জানেন না তার বাবা-মা কে। তবে তার দাদি তাকে বলেছেন, "তুমি ছোট্ট সময় হারিয়ে গিয়েছিলে, আমি তোমাকে পেয়ে এনে লালন করেছি।"

এ তরুণের নাম চাং চিয়া কাং। তার বয়স এখন ২৬ বছর। তিনি চিয়াংসি প্রদেশের ফেন ই জেলার একজন দমকলকর্মী। দাদি থাং ছাই ইংয়ের যত্নে তিনি বড় হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিজের জৈবিক পিতা-মাতা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তবে তার জীবনের অতীত তার কাছে গোপন রাখেননি তার দাদি। দাদি তাকে বলেন, ‘অন্যরা তোমাকে ছুঁড়ে ফেলেছিল। তবে আমি তোমাকে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম।’

১৯৯৭ সালের খুব সাধারণ এক সকালে থাং ছাই ইং হাসপাতালের দরজার সামনে থেকে একটি শিশুকে তুলে আনেন। শিশুটিকে মোড়ানো সেই ব্যাগে একটি কাগজ রাখা ছিল। এতে শিশুটির জন্মগ্রহণের সময় লেখা আছে।

তারপর থাং ছাই ইং এই শিশুকে চাং চিয়া কাং নাম দিয়েছেন। কাং মানে হংকং। ১৯৯৭ সালে হংকং মাতৃভূমির কোলে ফিরে আসার কারণে থাং ছাই শিশুটিকে এই নাম দিয়েছেন।

নিজে কিছু দিন তার যত্ন নেওয়ার পর শিশুটিকে বেসামরিক প্রশাসন বিভাগের মাধ্যমে দত্তক হিসেবে কোনো একটি ধনী পরিবারের হাতে তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন থাং ছাই ইং। কিন্তু অবশেষে তাকে তিনি নিজের কাছে রেখে বড় করার সিদ্ধান্ত নেন।

চাং চিয়া কাং বলেন, ‘যখন অন্যরা আমাকে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো, তখন আমি কান্না ভরা কণ্ঠে বলি, আমি দাদিকে চাই। ফলে দাদি আমাকে বিচ্ছিন্ন হতে দেননি।’

চাং চিয়া কাং দাদি থাং ছাই ইংয়ের দত্তক নেওয়া একমাত্র ছেলে শিশু নন। ১৯৮২ সাল থেকে থাং ছাই ইং মোট ৩৮ জন পরিত্যক্ত শিশুকে উদ্ধার করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই দত্তক পরিবারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো ছিলো না, থাং ছাই ইং নিজে দত্তক নেওয়ার আবেদন করে তাদেরকে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn