‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’: সায়েন্স-ফিকশনধর্মী সিনেমায় চীনা বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ
নেটিজেনরা মনে করেন যে, ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’ এমন একটি সাই-ফাই মুভি, যা শুধুমাত্র চীনারা তৈরি করতে পারেন। কারণ হলিউড সাই-ফাই মুভির চেয়ে এর ওয়ার্ল্ড ভিউ স্ট্রাকচার এবং সাই-ফাই সৃজনশীলতা আলাদা। চলচ্চিত্রটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চীনা জাতির আধ্যাত্মিক বৈশিষ্ট্য আছে: হাড়ভাঙ্গা সংগ্রামের মাধ্যমে বিস্ময় সৃষ্টি করা এবং একতাবদ্ধ থাকার শক্তি দেখা যায়। এটি চীনের হাজার বছর ধরে বাঁচিয়ে রাখা জ্ঞান, অর্থাত্ শান্তিকে মূল্যায়ন করা, পারস্পরিক কল্যাণকর এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে চলার কথা বলে।
ফিল্মে যখন বিশ্বের বিভিন্ন শক্তির মধ্যে কোন পরিকল্পনা বেছে নেওয়ার বিষয়ে মতপার্থক্য এবং এমনকি দ্বন্দ্ব দেখা যায়, তখন চীনা প্রতিনিধিরা দৃঢ়ভাবে ‘মাউন্টেন মুভ প্রজেক্ট’ এর পক্ষে দাঁড়ান। চীন আশা করে যে, সব মানুষ এবং পৃথিবীকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা করার জন্য পৃথিবীকে সৌরজগৎ থেকে বের করে নতুন ছায়াপথে রাখতে হবে। বিশ্বের কাছে এই পরিকল্পনার সম্ভাব্যতা প্রমাণ করার জন্য চীনকে সময়ের সাথে লড়াই করতে হয়েছিল এমনকি সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম তৈরির জন্য একাই চেষ্টা করতে হয়েছিল। এই বিষয়ে তরুণ চীনা কর্মীরা অসন্তুষ্ট ছিল। তারা বলে- ‘কেন আমাদেরকে এভাবে করতে হবে, এটি কি ন্যায়সঙ্গত?’ প্রবীণ চীনারা ঠান্ডা মাথায় বলেছিলেন: ‘সঙ্কটের সময়ে কেবল দায়িত্ব পালন করতে হয়। ঐক্যের একটি মূল্য আছে।’ এই দৃশ্য দেখে অনেক দর্শক চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি এবং অনেক দর্শকের জন্য তা ‘টিয়ার পয়েন্ট’ হয়ে উঠেছে।
অধিকাংশ ‘সুপারহিরো’ ভিত্তিক পপকর্ন মুভিতে অভিজাত ব্যক্তিদের উপর নির্ভর করে তথাকথিত ‘চূড়ান্ত শত্রু’কে পরাজিত করে মানবজাতিকে রক্ষা করা হয়। ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’তে ‘বীরত্ব’ উপস্থাপনার জন্য ভিন্ন একটি পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে। পুরো ফিল্ম জুড়ে মজাদার এবং আরামদায়ক মুহূর্ত দেখা যায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এতে বিভিন্ন জাতি, দেশ ও পরিচয়ের সাধারণ মানুষগুলোকে ভারী বোঝা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গভীর শক্তি দেখা যায়।
মানবসভ্যতা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, ভালবাসা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করা এবং প্রতিবন্ধকতা ও কুসংস্কার দূর করা উচিত্ বলে সবাই বুঝতে পারে।
লিলি/তৌহিদ/রুবি