‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’: সায়েন্স-ফিকশনধর্মী সিনেমায় চীনা বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ
বসন্ত উৎসবের ছুটিতে চীনের বক্স অফিসে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সায়েন্স-ফিকশনধর্মী সিনেমা ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’। ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ’ এর পরবর্তী চলচ্চিত্র এটি। ২০১৯ সালের বসন্ত উত্সবে মুক্তি পাওয়া মুভিটি ৪৬৫ কোটি ইউয়ান আরএমবি আয় করে। এতে চীনের চলচ্চিত্র ইতিহাসের বক্সঅফিস আয় বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করে মুভিটি। অনেক দর্শক মনে করেন, এ মুভিটি চীনের সায়েন্স-ফিকশনধর্মী মুভির’ সূচনা করেছে।
চার বছর পর পরিচালক কুও ফান ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’ নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হন। মুভিটি ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থে’ তুলে ধরা গল্পের কাহিনীকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়। ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ’ এবং ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’ মুভিটি বিখ্যাত লেখক লিউ ছি সিনের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। অনেক দর্শক মনে করেন, ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ’-এর চেয়ে ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’তে আরো মর্মান্তিক এবং দুর্দান্ত অডিও-ভিজ্যুয়াল যুক্ত হয়েছে, আরো পূর্ণাঙ্গ ও বৈচিত্র্যময় কাহিনী আছে এবং আরো বিস্তৃত এবং গভীর বিজ্ঞান কথাসাহিত্যের বিষয়ও আছে। স্পেশাল ইফেক্ট, গল্প, চরিত্র এবং থিম ইত্যাদি থেকে বলা যায়, ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’ আরো উচ্চ মানসম্পন্ন বলে অনেকে মনে করেন।
‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ ২’ মুভিটি কেমন? একজন নেটিজেন মজা করে উত্তরে বলেন, তিন ঘন্টার এ মুভি দেখার সময় টয়লেটে যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু চেপে রেখেছি।
মুভিটিতে বলা গল্পটি ২০৪৪ সাল থেকে ২০৫৮ সাল পর্যন্ত সময়ের। সেই সময় সূর্য ধ্বংস হতে যাচ্ছে এবং মানবসভ্যতা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। চীনের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং প্রচারের সাথে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মহাকাশ লিফটের সংকট এবং চাঁদের পতনের সংকট কাটিয়ে উঠতে হাত মিলায় এবং ‘পৃথিবী সরানোর’ পরিকল্পনা শুরু করে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি নতুন বাসস্থান খুঁজে পাওয়ার জন্য পৃথিবীর পৃষ্ঠে প্রোপেলার তৈরি করা হয়।