প্রেক্ষাগৃহে মুভি দেখা কি এখনও জনপ্রিয়?
থিয়েটারে ফিরে আসার প্রক্রিয়ায় তরুণ দর্শকদের দেখার পছন্দও পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল ইন্টারনেট প্লেব্যাক প্রযুক্তির আপগ্রেডের সাথে ফোর-কে প্রযুক্তি ঘরে বসে সিনেমা দেখার জন্য সাধারণ দর্শকদের চাহিদা মেটাতে পারে। এমনকি থ্রি-ডি ভিজুয়াল ইফেক্ট এবং ডলবি সাউন্ড ইফেক্ট, যা একসময় থিয়েটারের জন্য একচেটিয়া ছিল, এখন বিভিন্ন আকারে হোম থিয়েটারে প্রবেশ করেছে। দর্শকদের জন্য চমৎকার অডিও-ভিজুয়াল ইফেক্ট পাওয়ার জন্য খরচও কমে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের মুভি দেখার প্রত্যাশা শুধুমাত্র অডিও-ভিজুয়াল ইফেক্টের প্রযুক্তির উপর ফোকাস করা নয়, বরং সত্যিকার আবেগের অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
‘ছোট্ট একটি লাল ফুল’ মুভি
এমন প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে প্রবেশ করা তরুণ দর্শকরা দেশীয় বাস্তবসম্মত সিনেমা দেখার জন্য অভূতপূর্ব উৎসাহ দেখিয়েছে। যেমন, ‘গৃহে প্রত্যাবর্তন’ ‘সাধারণ বীর’-সহ নানা মুভি সত্যিকারের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। এসবের মাধ্যমে তরুণ দর্শকেরা বিভিন্ন মহলে কর্মরত সাধারণ বীরদের সম্পর্কে জানতে পারেন। ‘বোন’ এবং ‘ছোট্ট একটি লাল ফুল’ মুভিতে আজকাল তরুণ-তরুণীদের নানা বাস্তব সমস্যা ফুটে উঠেছে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থিয়েটারগুলোতে বিভিন্ন ক্লাসিক্যাল মুভি’র রি-স্ক্রিনিং কার্যক্রমও অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা তরুণ দর্শকদের সাড়া পেয়েছে। পর্দা একটি আয়না, যা বাস্তব জীবনকে প্রতিফলিত করে এবং পর্দার আলো ও ছায়া সৃষ্টিকারীদের সময়ের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করে এবং দর্শকদের সমাজ সম্পর্কে চিন্তা করতে অনুপ্রাণিত করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পারিবারিক স্নেহ এবং জীবনের মূল্যের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে এমন বাস্তব চলচ্চিত্রগুলো প্রায়শই বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিষয়বস্তু দর্শকের মনস্তত্ত্বের উপর কাজ করে এবং দর্শকদের মানসিক দিকও বিষয়বস্তু তৈরির উপর প্রতিক্রিয়া দেখায়। ‘মাল্টি-স্ক্রিন যুগে’ তরুণ-তরুণীদের চলচ্চিত্র দেখার অভিযোজন পরিবর্তনের ফলে বাস্তবসম্মত এবং মূলধারার চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহিত করে। আশা করা যায় যে বেশিরভাগ চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই প্রবণতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করবেন, সাংস্কৃতিক মিশন কাঁধে রাখবেন, আরও বাস্তবসম্মত চিত্রনাট্য লিখবেন, জনগণের মানসিক শক্তি জোরালো করতে সক্ষম শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম সৃষ্টি করবেন এবং চীনের চলচ্চিত্র শিল্পকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলবেন। লিলি/এনাম/রুবি