প্রেক্ষাগৃহে মুভি দেখা কি এখনও জনপ্রিয়?
বর্তমানের ‘মাল্টি স্ক্রিনের যুগে’ অধিকাংশ মানুষ তথ্য অর্জন, বিনোদন লাভ এবং যোগাযোগ করার জন্য পর্দার ওপর নির্ভর করে থাকেন। স্ক্রিন-ভিত্তিক অডিও-ভিজুয়াল বিষয়বস্তু তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিনোদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পছন্দ হয়ে উঠেছে।
তারা অনেক সময় ধরে সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ব্রাউজ করে বা গেম খেলতে ভার্চুয়াল স্পেসে অনেক সময় ব্যয় করে। তাই অনেক পণ্ডিত এ থেকে অনুমান করেন যে মুভি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যাওয়া এখন বিনোদনের একটি ঐতিহ্যবাহী এমনকি সেকেলে বিষয় হয়ে পড়েছে।
কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি তা নয়। বর্তমানে অনেক তরুণ দর্শক সিনেমা হল থেকে দূরে থাকে না, বরং তারা সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখায় বেশি মনোযোগ দেয়। একসাথে সিনেমা দেখার জন্য বন্ধুদের আমন্ত্রণ করে। তাই সিনেমা হলগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ভূমিকা পালন করতে পুরোপুরি সক্ষম। এই পরিস্থিতিতে ‘মাল্টি স্ক্রিনের যুগে’ স্ক্রিন আর্ট হিসেবে চলচ্চিত্রের সাংস্কৃতিক মিশনটিকে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে আমাদের।
সামাজিক যোগাযোগ থেকে সংবেদনশীল অভিজ্ঞতা অর্জন তরুণদের অন্যতম প্রধান চাহিদা। আজকের তরুণরা হচ্ছে সেই প্রজন্ম - যারা ইন্টারনেটের সাথে বড় হয়েছে এবং তাদের বেশিরভাগই ইন্টারনেটে নানা সামাজিক প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকে। অনেকের জীবন ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করে থাকে। তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, বাস্তবে মানুষের সাথে মানুষের গভীর যোগাযোগের অভাব রয়েছে। তাই ইন্টারনেট থেকে বাস্তবে ফিরে আসার সময় ‘সামাজিক ভীতি’র প্রবণতা দেখা যায়। সুতরাং, যখন তারা অফলাইনে মেলামেশা করে, তখনও তারা ‘সিনেমা দেখা, খাবার খাওয়া ও শপিং করা’র মোড বেছে নিতে পছন্দ করে এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং সাধারণ বিষয়গুলোকে খুঁজে পেতে আবেগ থেকে মুক্তি এবং সামাজিক সংযোগের একটি বিন্দু হিসেবে সিনেমার প্লটগুলোর আলোচনাকে ব্যবহার করে।