পর্দা নামলো ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের
সুই রোং বলেন, ‘চীন অন্যতম বৃহত্তম চলচ্চিত্র বাজার, মহামারীর প্রভাব সত্ত্বেও ২০২১ সালে চীনের বক্স অফিসের আয় প্রায় ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। চীনা চলচ্চিত্র নির্মাতারা, শিল্পী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ইতালীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের সাথে সহযোগিতা করার এই সুযোগ এবং ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে সারা বিশ্বের বন্ধুদের সাথে মত বিনিময় ও শেয়ার করার সুযোগকে মূল্য দেন।
চীনে নিযুক্ত ইতালির দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক এবং সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর ফেদেরিকো আন্তোনেলি তাতে এক ভিডিও বক্তৃতা দিয়েছেন। বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘চীন ও ইতালির সংস্কৃতি বিনিময়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং অনেক সফল সহযোগিতাও রয়েছে। ফিল্ম এবং টেলিভিশনের ক্ষেত্রে দু’দেশের অনেক সফল সহযোগিতাও রয়েছে। ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থা চীন-ইতালি দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক বিনিময়কে সমর্থন অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক। আমরা মহামারী সৃষ্ট অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে কঠোর পরিশ্রম করছি এবং ধীরে ধীরে চীন-ইতালি দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম আয়োজন করছি। আশা করা যায়, প্রাক-মহামারী সময়ে ফিরে আসতে এবং আরও ফলাফল অর্জন করা যাবে।
অনুষ্ঠানে উভয় দেশের অতিথিরা চীনা চলচ্চিত্র বাজারের সর্বশেষ উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে চীন-ইতালি, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনে চীন-বিদেশের বিনিময় ও সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রাণবন্ত আলোচনা করেছিলেন। অতিথিদের মতে, মহামারীর পটভূমিতে, চীনা চলচ্চিত্রের বাজার এখনও ভাল উন্নয়ন অর্জন করেছে। যেমন: গত বছর চীনে নির্মিত নতুন পর্দার সংখ্যা প্রায় ৬,৬০০টিতে পৌঁছেছে, যা ভবিষ্যতে চীনা চলচ্চিত্রের টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছে। কার্টুনসহ নানা ধরণের চলচ্চিত্রের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে এবং যা চীনা দর্শকদের সমাদরও পেয়েছে। চীনা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অভিব্যক্তিও আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেছে এবং তারা চীনা সংস্কৃতি এবং চলচ্চিত্রের নতুন বিষয় খনন এবং তৈরি করার নতুন প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, যাতে আরও ভালভাবে চীনা গল্পগুলো বলা এবং চাইনিজ ফিল্ম সংস্কৃতির প্রচার ও বাইরে যাওয়ার নতুন সুযোগ তৈরি করা যায়।