অ্যান্টার্কটিকা ভ্রমণের আদ্যোপান্ত
আজকে আমরা মুই নামে একজন পোলার ক্রুজ এক্সপিরিয়েন্স অফিসারের সঙ্গে পরিচিত হবো।
প্রত্যন্ত মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা হচ্ছে বিশ্বের শীতলতম, শুষ্কতম এবং বাতাসযুক্ত স্থান। অ্যান্টার্কটিকার প্রায় ৯৮ শতাংশ এলাকা বরফে আচ্ছাদিত। অন্যান্য মহাদেশের মতো এটিও হাজার হাজার বছর ধরে বিদ্যমান বলে বলা হয়; তবে, ১৯ শতকের আগ পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকা আবিষ্কৃত হয়নি।
যদিও এখানে কোন গাছ, ঝোপঝাড় এবং প্রাণী নেই, সেখানে রয়েছে দৃঢ় শ্যাওলা, লাইকেন এবং শৈবাল, সেইসাথে পেঙ্গুইন, সামুদ্রিক পাখি এবং সিলের ও দেখা মিলে সেখানে।
এখন পর্যন্ত মুই মোট ৭বার অ্যান্টার্কটিক এবং ৬বার উত্তর মেরুতে গিয়েছেন এবং সারা বিশ্বের ১৫টি ক্রুজ কোম্পানি থেকে ২০টিরও বেশি বিভিন্ন ক্রুজ জাহাজে চড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি নিজেকে ‘পোলার ক্রুজ এক্সপিরিয়েন্স অফিসার’ হিসেবে অভিহিত করেন। এই পছন্দের জীবনযাত্রা বেছে নেওয়ার আগে, তিনি একটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন। অ্যান্টার্কটিকা ভ্রমণের কারণে তিনি পেঙ্গুইনকে ভালবেসে ফেলেন। বিশ্বজুড়ে ১৮টি প্রজাতির পেঙ্গুইন দেখার লক্ষ্য নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তার নিজস্ব অ্যান্টার্কটিক ভ্রমণ পরামর্শদাতা সংস্থা, যাতে মেরু পর্যটনের প্রতি আকৃষ্ট তার মতো আরও বেশি লোককে সাহায্য করতে পারেন।
২০১৬ সালে যখন তিনি প্রথমবার অ্যান্টার্কটিকায় পা রাখেন, তখন উত্তেজিত এবং হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন মুই। প্রথমবারের মতো কয়েক হাজারেরও বেশি রাজা পেঙ্গুইনকে জমিতে জড়ো হয়ে খেতে দেখেছিলেন তিনি। এটি যেন বিবিসি’র ডকুমেন্টারির দৃশ্যটির সত্যিকারের পুনরুদ্ধারের মতো। প্রথমবারের মতো খালি চোখে দুর্দান্ত এ দৃশ্য দেখে সত্যিই অভিভূত হয়েছিল মুই। দারুণ উদ্দীপ্ত হয়ে দুদিন ঘুমাতে পারেননি তিনি।
পরবর্তীতে আরও তিনবার তিনি দ্বীপে অবতরণ করেন। মেরু হিমবাহের ল্যান্ডস্কেপ, তুষার ও বরফ ছাড়া আর যা তাকে আরও আকৃষ্ট করেছিল তা হল ঠাণ্ডা পরিবেশে প্রাণশক্তির দৃঢ়তা। অ্যান্টার্কটিকায়, পেঙ্গুইন, সিল এবং তিমির মতো প্রাণীগুলো বসবাস করে থাকে। গাছপালার বেড়ে ওঠা কঠিন, শুধুমাত্র দুই ধরণের উচ্চ গাছপালা এবং কিছু শ্যাওলা ও আদিম লাইকেন বেড়ে ওঠে সেখানে।
অনেকের সন্দেহ করেন, কেন তিনি শুধুমাত্র একবার পোলার ট্রিপের কারণে উচ্চ বেতনের চাকরি ছেড়ে দেন? এর উত্তর পেতে হলে মুই’র বড় হওয়ার অভিজ্ঞতার দিকে নজর দিতে হবে।