বাংলা

তিব্বতি ফটোগ্রাফার পাও ইয়োং ছিং

CMGPublished: 2022-08-20 17:04:21
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

পাও ইয়োং ছিং বলেন, থিয়েন চুন জেলা আমাদের বাড়ি এবং থিয়েন চুন পাহাড় নানা ধরনের প্রাণীদের বাড়ি। তিনি সবসময়ই নিজকে মনে করিয়ে দেন, পাহাড়ে প্রবেশ করলে পশুপাখির দিক থেকে চিন্তা করা উচিত্।

প্রকৃতির কাছে ‘পশু ও মানুষ একই’। এটাই পাও ইয়োংছিংয়ের সবচে বেশি বলা একটি কথা। মাঝেমাঝে মানুষ যারা নিজেদেরকে খাদ্য শৃঙ্খলের শীর্ষ বলে মনে করে, তাদের বন্য প্রাণীদের থেকে বেঁচে থাকার দর্শন শেখা উচিত্।

পাও ইয়োংছিংয়ের জন্মস্থান থিয়েনচুন জেলা কয়লা সম্পদে সমৃদ্ধ, যেখানে বিলিয়ন টন প্যাকেজড ওপেন-পিট উচ্চ-মানের কুকিং কয়লা রয়েছে। পাহাড়ে হাঁটতে হাঁটতে পায়ের নিচে কালো রাস্তা দেখা যায়। কয়লা খনিগুলো একসময় থিয়েনচুন জেলার প্রধান শিল্প ছিল, যা উত্তর-পশ্চিমে এই ছোট জেলাকে ২০১০ সালে দেশের শীর্ষ ১০০টি জেলার অন্তর্ভুক্ত করে।

তবে মালভূমির ভঙ্গুর পরিবেশের মধ্যে কয়লা সম্পদ অতিরিক্ত খনন করায় নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হতে পারে। তুষার চিতাবাঘের প্রধান খাবার হল ভেড়া। কয়লা খনির কারণে সেখানে তৃণভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে। ভেড়ার খাওয়ার মতো ঘাস নেই, আর তুষার চিতাবাঘের খাওয়ার মতো ভেড়াও নেই। মালভূমির তৃণভূমিতে বসবাসকারী পিকা এবং মারমোটগুলো তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে এবং তিব্বতি শিয়ালগুলো ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছে।

পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় নীল আকাশ, স্বচ্ছ পানি ও বিশুদ্ধ জমি রক্ষার জন্য ২০১১ সাল থেকে একের পর এক স্থানীয় কয়লা খনি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক দুই বছরে সংরক্ষণের মাত্রা বাড়িয়ে পরিবেশগত পুনরুদ্ধারে ২ বিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে সরকার।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং ২০১৬ সালে ছিংহাই পরিদর্শনকালে বলেন, ‘ছিংহাইয়ের সবচেয়ে বেশি মূল্যবান বাস্তুশাস্ত্র বিদ্যমান থাকা এর সবচে বড় দায়িত্ব বাস্তুবিদ্যা এবং সবচে বড় সম্ভাবনাও বাস্তুবিদ্যায়। পরিবেশগত সভ্যতা নির্মাণকে একটি বিশিষ্ট অবস্থানে রাখতে হবে, প্রকৃতিকে সম্মান করা, প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে।’ থিয়েনচুনবাসীরা সম্পাদকের কথা মনে রেখেছেন এবং তা বাস্তবায়নে ঘনিষ্ঠ মনোযোগ দিয়েছেন।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু ওয়াইলন্ডলাইফ ফটোগ্রাফার ছবি তোলার জন্য বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়ান, বিশেষ করে আফ্রিকা এবং আমাজনে।

‘আমি থিয়েনচুনে আছি। আমি আমার জন্মস্থানের পশুদের ছবি তোলা শেষ করতে পারছি না, আমি আর কোথায় ছবি তুলতে যাবো?’

পাও ইয়োংছিং আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফি বার্ষিক প্রতিযোগিতার পুরস্কারের স্বাগত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুবাদকদের মাধ্যমে সারা বিশ্বের ফটোগ্রাফারদের সাথে চ্যাট করেছেন। তারা জানতে চায় যে, সে কোথা থেকে এসেছে, সে তার নিজের জন্মস্থানের নাম বলে, কিন্তু বিদেশিরা তার কথা বুঝতে পারে না। তখন সে বলে ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি। তারপর তারা তাকে জিজ্ঞাস করেন, সেখানে তিব্বতি অ্যান্টিলোপ ছাড়া, আর কোনো প্রাণী আছে কি?

পাও ইয়োংছিং উত্তরে বলেন, আরো আছে চিতাবাঘ। তারপর পাও ইয়োংছিং নিজের সেলফোন খুলে তাদের ছবি দেখানো শুরু করেন। তিনি গৌরবের সাথে তাদের বলেন, আমার জন্মস্থানে খুব সহজেই এসব বিরল প্রাণী দেখা যায়। আপাদের স্বাগত জানাই।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn