বাংলা

'সবুজ মাঠ' নামে প্রামাণ্যচিত্রের থিমসংয়ের জন্মস্থান: সিনচিয়াংয়ের কোকোদালা

cmgPublished: 2022-05-26 10:19:08
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

৬০ বছর ধরে এই গানটি অসংখ্য চীনা মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে।

এই গানের সুর প্রথম যেখানে শোনা যায়, সেখানকার অবস্থা কেমন? আজকের অনুষ্ঠানে এই সুরের জন্মস্থান, অর্থাত্ সিনচিয়াংয়ের কোকোদালা শহরে যাবো।

কোকোদালা শব্দটি কাজাখ ও মঙ্গোলিয়ান ভাষার সংমিশ্রণ, মানে ‘সবুজ মাঠ’। এটি একটি জাদুকরী ভূমি। দু’হাজারেরও বেশি সময় ধরে ওই জায়গা চীনের বিভিন্ন জাতির জনগণের জীবনযাপন ও বিনিময়ের জায়গা হয়ে উঠেছে। সেখানে বিভিন্ন জাতির মানুষের সীমান্ত নির্মাণ এবং সীমানা রক্ষা করার মনোমুগ্ধকর গল্প পাওয়া যায়।

ছয় দশক পর বর্তমানে কোকোদালার ভূমিতে নতুন যুগের বসন্ত বাতাস অনুভব করা যায়।

স্বচ্ছ পানি ও নীল আকাশের মধ্যে কোকোদালা যেন সুন্দর একটি বড় বাগান। রাতে, ইলি নদীর ধারে ওয়াংহ্য প্যাভিলিয়ন, নদীর জলে উজ্জ্বল আলোর প্রতিফলন এবং কোকোদালার নতুন শহর জলের পাশে দেখা যায়- উজ্জ্বলতা যেন উপচে পড়ছে।

‘প্রেইরি নাইট’ গানে বলা হয় যে, চিঠি ডেলিভারি করার জন্য কোন পোস্টম্যান নেই... এই অবস্থা অনেক আগেই দূর হয়েছে। এখন কোকোদালাতে শুধু পোস্টাল রুটগুলোই বাধাহীন নয়, সব এক্সপ্রেস ডেলিভারি পরিষেবাগুলো যে কোনও সময় আসে এবং ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক বিস্তৃত রয়েছে।

ভূমি পুনরুদ্ধারের যুগে, জায়গাটি আগাছা ও ইঁদুরের গর্তে পূর্ণ ছিল। কেন ‘প্রেইরি নাইট’ গানে বলা হয় যে, চিঠি ডেলিভারি করার জন্য কোন পোস্টম্যান নেই। কারণ, সবচে কাছের ডাক অফিসটিও কোকোদালা থেকে প্রায় কয়েক ডজন কিলোমিটার দূরে ছিল।

৯৩ বছর বয়সী ইয়েন সিন ছিউ কোকোদালার ভূমি পুনরুদ্ধার কাজে অংশ নেন। তার মতো অসংখ্য মানুষের পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কোকোদালার অনুর্বর ও জনশূন্য পুরানো রূপ পরিবর্তিত হয়েছে।

বর্তমানে কোকোদালা হচ্ছে শস্য ও তেল উৎপাদন, ভুট্টা বীজ উৎপাদন ও পশুপালনের কেন্দ্র। এটি দেশের বৃহত্তম প্রাকৃতিক মশলা বা ল্যাভেন্ডার উৎপাদন ঘাঁটি। লিলি/তৌহিদ

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn