ব্রাজিলের বিখ্যাত কার্টুনিস্ট মাউরিসিও আরাউজোদে সুলা
মাউরিসিও সুলার শিল্পকর্মের নানা চরিত্রের মধ্যে অনেকেই তার আশেপাশের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু। মোনিকা হলো তার দ্বিতীয় কন্যার নাম। ১৯৬৩ সালে ‘মোনিকাকে’ প্রথমবারের মতো তার শিল্পকর্মে দেখা যায়। ‘মোনিকা ও তার বন্ধুরা’ নামে সিরিজ কার্টুন বইতে মাউরিসিও সহজ, সরল ও রহস্যময় ভাষা দিয়ে হালকা ও আনন্দময় দৃশ্যের মাধ্যমে শিশুদের জীবনের সহজ তথ্য জানিয়েছেন। বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া এবং মৈত্রী, পরিবার ও নীতিশাস্ত্রের প্রতি শিশুদের সঠিক বোঝাপড়া গড়ে তুলেছেন তিনি।
অনেক বয়স্ক হলেও মাউরিসিও সুলা অব্যাহতভাবে নতুন সৃজনশীলতা ও শিল্পকর্মও রচনা করেছেন। তিনি মনে করেন, শ্রেষ্ঠ একজন কার্টুনিস্ট হতে চাইলে প্রথমে এই ক্যারিয়ারকে খুব পছন্দ করতে হয়, ছবি আঁকার মাধ্যমে গল্প বলার শক্তিশালী ইচ্ছা থাকতে হয়। দ্বিতীয়ত মনোযোগ দিয়ে কার্টুন বাজার ও প্রকাশনা খাত নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছাও থাকতে হয়।
কৌতুকের বই ছাড়া, মাউরিসিও সুলার কোম্পানি কার্টুন ছবি ও মঞ্চনাটকের সঙ্গে কাজ করে, থিম পার্ক খোলা, কম্পিউটার খেলা নকশা করা এবং কার্টুন-খেলনা বিক্রি করার সঙ্গেও তারা জড়িত। ব্রাজিলের অনেক জায়গায় মোনিকা এবং এর অংশীদারের কার্টুন মূর্তি দেখা যায়।
মাউরিসিও সুলা কয়েকবার চীন সফর করেছেন। তিনি সহযোগী অংশীদারকে চীনে শিল্পকর্ম প্রকাশ করার অনুরোধও করেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাজিলের ফুটবল ও ইতিহাস আর সংস্কৃতি ব্যাখ্যা করা এবং ‘মোনিকা ও তার বন্ধুরা’ সিরিজের বইগুলো। মাউরিসিও সুলা বলেন, আমার স্বপ্ন হলো চীনে আরও কার্টুনের বই প্রকাশ করা। আমি ছোট চীনা বন্ধুদের নানা গল্প বলতে চাই।
লিলি/তৌহিদ/শুয়ে