হংকংয়ের বিখ্যাত অভিনেতা গ্যাব্রিয়েল ওয়োং
এ ধরনের পার্থক্য আয়ত্ত করে বারবার চর্চা করার পর গ্যাব্রিয়েল ওয়োং আরো ভালোভাবে মুলভূভাগের চলচ্চিত্র ও টিভি মহলে নিজের কাজ সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি মুলভূভাগের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ইন্টারনেট মুভির শুটিং ও নির্মাণকাজে অংশগ্রহণ করেছেন। শেনচেন, শাংহাই, হাংচৌ-সহ মুলভূভাগের অনেক শহরে পা রাখেন তিনি।
কুয়াংতং-হংকং-ম্যাকাও বৃহত্তর উপসাগরীয় এলাকার উন্নয়নে গ্যাব্রিয়েল ওয়োং দারুণ উত্তেজিত হন। তিনি বিশ্বাস করেন, কুয়াংতং-হংকং-ম্যাকাও বৃহত্তর উপসাগরীয় এলাকার উন্নয়ন সরাসরি প্রায় ১০ কোটি মানুষের সঙ্গে জড়িত। মাতৃভূমির বৃহত্তর বাজারের ওপর নির্ভর করে এখানে তরুণদের কাজের অনেক জায়গা রয়েছে। অভিনয়, গান গাওয়া এবং পরিবেশন ইত্যাদির জন্য বড় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
২০০৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গ্যাব্রিয়েল ওয়োং কুয়াংচৌ শহরের দ্রুত পরিবর্তনই দেখেন নি, বরং মূল ভূভাগের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্পের বিকাশেও অংশ নিয়েছিলেন। তিনি মনে রেখেছেন যে, ২০০৩ সালের কাছাকাছি সময় মূলভূভাগের ক্রুরা তুলনামূলকভাবে সহজ সরঞ্জাম ব্যবহার করত এবং ‘বক্স অফিস’ নাগালের বাইরে বলে মনে করত। কিন্তু মাত্র কয়েক দশকে তারা শীর্ষস্থানীয় সরঞ্জাম ও স্ব-চাষিত প্রতিভায় পূর্ণ মেধাবী লোক তৈরি করেছে এবং কয়েক মিলিয়ন ও বিলিয়ন ইউয়ান অর্জনের বক্স অফিসের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
মূল ভূভাগের ক্রমবর্ধমান সংক্ষিপ্ত ভিডিও বাজার চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন শিল্পে উন্নয়নের আরো বেশি সুযোগ এনে দিয়েছে। গ্যাব্রিয়েল ওয়োং এসব প্ল্যাটফর্মের বৈশিষ্ট্য ক্রমাগত শিখছেন, বিভিন্ন শৈলীর মধ্যে আরো বেশি শিল্পকর্মের মাধ্যমে দর্শকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রত্যাশা করন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিলিবিলি ওয়েবসাইট মূলত তরুণদের লক্ষ্য করে গড়ে উঠেছে। সিওহোংশু প্রধানত মেয়েদের কাছে বেশি আকর্ষণীয়। তৌইনের বিশাল ব্যবহারকারী আছে। খুয়েশৌ উত্তর চীনে বেশি জনপ্রিয় বলে মনে হয়।’