ক্রীড়াবিষয়ক তথ্যচিত্রের ইতিহাস
১৯৯০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ১১তম এশিয়ান গেমস বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চীন এ নিয়ে প্রথমবারের মতো সার্বিক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ‘এশিয়ান গেমসের শহর’, ‘এশিয়ান গেমসের তারকা’ এবং ‘এশিয়ান গেমসের ভাবানুভূতি’ এ তিনটি তথ্যচিত্রে চীনের ক্রীড়া প্রতিনিধিদলের খেলোয়াড়দের কঠোর প্রশিক্ষণ এবং স্টেডিয়াম নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ রেকর্ড করা হয়। তা ছাড়া, ‘অবিস্মরণীয় ১৬ দিন’ শিরোনামে ৯টি পর্বের তথ্যচিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সমাপনী অনুষ্ঠান এবং খেলোয়াড়দের স্টেডিয়ামে পদক জয় করার চমত্কার মুহূর্তও রেকর্ড করা হয়। এসব ক্রীড়াবিষয়ক তথ্যচিত্রে এশিয়ান গেমসকে থিম হিসেবে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বেইজিং এশিয়ান গেমসের নানা দিক স্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গভাবে দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয়।
তা ছাড়া, সেই সময় অনেক শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন তথ্যচিত্র দেখা যায়। এসব টিভি তথ্যচিত্র শুধুমাত্র ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও খেলোয়াড়দের ওপর সীমাবদ্ধ নয়, বরং ক্যামেরা দিয়ে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের ওপর দৃষ্টিপাত করা হয়। সেই সময়ের অনুপ্রেরণা ‘মানুষের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’ থেকে ‘ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সঙ্গে জড়িত মানুষের প্রতি আগ্রহে’ রূপান্তরিত হয়।
স্বাধীন ব্যক্তি হিসেবে খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং অংশ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এসব টেলিভিশন তথ্যচিত্রে। এমন পরিবর্তন ২০ শতকের ৯০-এর দশকে চীনের নতুন তথ্যচিত্র আন্দোলনের চেতনা ক্রীড়াবিষয়ক তথ্যচিত্রে ছড়িয়ে পড়ার ফলাফল।
সবার নিজের জীবনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত্। সেই সময়ের তথ্যচিত্রে রাজনৈতিক প্রচারণার রং হালকা ছিলো এবং মানুষ ও ক্রীড়ার সুষম উন্নয়ন বর্ণনা করা হয়েছিল।