চীনা গল্প বলার ভিন্ন দৃষ্টিকোণ অনুসন্ধান করা সার্বিয়ার পরিচালক মুলাদেন কোভাছেভিচ-China Radio International
২০১৭ সালে কোভাছেভিচ প্রথমবারের মতো চীনে আসেন। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ই উ শহরে তিনি চীনের উন্নয়নের স্পন্দন অনুভব করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখন, সার্বিয়া এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার শ্রমিকদের তুলনায় ই উ’র শ্রমিকদের বেতন কয়েকগুণ বেশি। অনেক কারখানার পরিবেশ পশ্চিমা দেশগুলোর কারখানার মতোই। চীন সস্তা শ্রমের যুগকে বিদায় জানাচ্ছে।’
কোভাছেভিচ বলেন, তিনি পশ্চিমাদের তৈরি চীনের অর্থনৈতিক অলৌকিকতা নিয়ে অনেক তথ্যচিত্র দেখেছেন এবং সেগুলোতে চীন সম্পর্কে অনেক বদ্ধমূল ধারণা আছে। ‘আমি বিশ্বাস করি যে, এটা বিরক্তিকর।’ কোভাসেভিচ মনে করেন, লোকেরা প্রকৃত চীন দেখতে চান। একজন পরিচালককে অবশ্যই সততার সঙ্গে তার মতামত প্রকাশ করতে হবে।
‘মেরি ক্রিসমাস, ই উ’ নামের এ প্রামাণ্যচিত্র চলচ্চিত্র উত্সবের বিচারকদের মুগ্ধ করেছে। তা ছাড়া, অনেক চীনা ভক্তের মনও জয় করেছে। পাশ্চাত্যের বাঁধাধরা দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চলচ্চিত্রের সচেতন প্রচেষ্টার উচ্ছ্বসিত স্বীকৃতি দিয়েছে চলচ্চিত্র ভক্তরা। ফ্রান্সে বসবাসকারী ই উ শহরের এক তরুণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, একজন ইউরোপীয় পরিচালক ই উ’র সত্যিকারের দৃশ্য তুলে ধরেছেন যা অকল্পনীয়।
২০১৮ সালে ‘মেরি ক্রিসমাস, ই উ’ নামে এ প্রামাণ্যচিত্র তৈরির কাজ শুরু হয় এবং শরত্কালে এটি শেষ হয়। শুটিংয়ের সময় কোভাছেভিচ তিন বার চীনে আসেন। নিজের ক্যামেরা ধরা পড়া সাধারণ চীনা মানুষ এবং তার দলের চীনা সহকর্মীদের প্রতি তার সুগভীর অনুভূতি রয়েছে। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র আমার এবং চীন ও চীনা জনগণের মধ্যে একটি বন্ধন স্থাপন করেছে। আমার মনে চীনের জন্য একটি বিশেষ স্থান আছে; যাকে অন্য কোনও স্থানের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।