চীনা গল্প বলার ভিন্ন দৃষ্টিকোণ অনুসন্ধান করা সার্বিয়ার পরিচালক মুলাদেন কোভাছেভিচ-China Radio International
‘আমি চীনা গল্প বলার জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি অনুসন্ধান করছি। এই দৃষ্টিকোণটি আগের পশ্চিমা সিনেমাগুলোতে তুলে ধরা চীনা গল্প থেকে আলাদা কিছু নয়, বরং পশ্চিমা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো ঘটনা।’ সম্প্রতি সিনহুয়া বার্তা সংস্থার সাংবাদিককে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মুলাদেন কোভাছেভিচ একথা বলেন।
মুলাদেন কোভাছেভিচের তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘মেরি ক্রিসমাস, ই উ’তে চীনের চ্যচিয়াং প্রদেশের ই উ’র শত শত কারখানার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এসব কারাখানায় ক্রিসমাসের অলঙ্কার তৈরি করা হতো। তার এ তথ্যচিত্রে সাধারণ চীনা মানুষের ছোট ও বাস্তব জীবনের উপর দৃষ্টিপাত করা হয়। এতে চীনা সমাজ উন্নয়নের একটি শান্তিপূর্ণ এবং উষ্ণ অংশ ফুটে ওঠে।
কারখানার মালিক কাজ করার পাশাপাশি গান গায়, সে বিলিয়ার্ড হলে ভালোবাসা ও কষ্টের কথা জানায়। এ তথ্যচিত্রে বিশেষ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নেই, বরং এতে ধীর ও দৈনন্দিন নানা ছবির মাধ্যমে সাধারণ কিছু মানুষের সাধারণ জীবনের কথা বলা হয়েছে। চলচ্চিত্রে ই উ শহরের স্থানীয় বাসিন্দা বা সেখানে অন্য জায়গা থেকে কাজ করতে আসা নতুন ই উ’বাসী রয়েছেন। তাদের আনন্দ আছে, দ্বন্দ্ব আছে, আছে কষ্টও। তবে তারা সুন্দর জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অব্যাহতভাবে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
কোভাছেভিচ বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাণিজ্যিক শহর হিসেবে ই উ শহরে বড় ও ছোট ক্রিসমাস অলঙ্কার উৎপাদনকারী শত শত কারখানা রয়েছে। সাধারণ চীনা শ্রমিকদের তৈরি এই ক্রিসমাস অলঙ্কারগুলি পশ্চিমা সমাজের হাজার হাজার ঘরে প্রবেশ করেছে। ই উ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চীনা গল্প বলার এমন একটি আদর্শ স্থান।
তিনি বলেন, ক্রিসমাস হলো পশ্চিমা জগতের খ্রিষ্ট ধর্মীয় মানুষদের সবচে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উত্সব। চীনে এমন একটি শহর আছে যেখানে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ ক্রিসমাস উপকরণ তৈরি করা হয়। আমি মনে করি এটি খুব আকর্ষণীয়।