প্রামাণ্যচিত্র ‘থাং-গা’র পেইন্টারের জন্মস্থান’-China Radio International
ইনওই তাকাশি বলেন, ‘থাং-গা’র পেইন্টারের জন্মস্থান’ শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্রটি চীনের প্রতি তার নতুন উপলব্ধি সৃষ্টি করেছে। তা হলো- চীন বরাবরই সংস্কৃতি সংরক্ষণে সচেষ্ট রয়েছে।
বিংশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ সংক্রান্ত ধারাবাহিক প্রামাণ্যচিত্র শুটিং করার জন্য ইনওই তাকাশি চীনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি নিজের চোখে চীনের বিশাল পরিবর্তনের সাক্ষ্য বহন করেছেন।
ইনওই তাকাশি বলেন, উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা ও সংরক্ষণ। আধুনিকায়নের প্রক্রিয়ায় কিছু ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সহজেই উপেক্ষা করা যায়। আমি লক্ষ্য করেছি যে, চীন সরকার সংস্কৃতির সংরক্ষণে অনেক কাজ করেছে। সংস্কৃতি সংরক্ষণের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি আবারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। এটা খুব প্রশংসনীয় কাজ। এখন আরও বেশি মানুষ তিব্বতি জাতির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির গুরুত্ব উপলব্ধি করছে।
ইনওই তাকাশি মনে করেন, চিত্রকলার শিল্প শেখানো এবং ঐতিহাসিক সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা হলো সংস্কৃতি উদ্দীপ্ত করা, ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও দারিদ্র্যমুক্তির পদ্ধতি। তিব্বতি তরুণ তরুণীদের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা দারুণ আকর্ষণীয়। ‘আমি নিজের অনুভূতি জাপানে পৌঁছে দিতে চাই। জাপানি তরুণ সমাজ এতে উত্সাহিত হবেন বলে আমি আশা করি।’ ইনওই তাকাশি এভাবেই বলছিলেন।
ইনওই তাকাশি চীনের বিশাল পরিবর্তন সম্পর্কে বলেন, চীনের ভবিষ্যতে আরো জটিল হতে পারে। তবে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ভালো ফল চীনে দেখা গেছে।