প্রামাণ্যচিত্র ‘থাং-গা’র পেইন্টারের জন্মস্থান’-China Radio International
‘থাং-গা’র পেইন্টারের জন্মস্থান’ শিরোনামে চীন ও জাপানের যৌথ প্রামাণ্যচিত্র ২৩ মে জাপান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের টিভি কেন্দ্র বা এনএইচকেতে পুনঃপ্রচারিত হয়েছে। সম্প্রতি জাপানের প্রবীণ প্রামাণ্যচিত্র পরিচালক ইনওই তাকাশি (inoue takashi) সিনহুয়া বার্তাসংস্থায় এক সাক্ষাত্কার দেন। সাক্ষাত্কারে এ প্রামাণ্যচিত্র তৈরির সময় নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন তিনি।
ইনওই তাকাশি ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি উয়াসেদা ইউনিভার্সিটি (Waseda University)থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি এনএইচকেতে যোগ দেন এবং ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শিল্পকলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি এখন টোকিও ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টসের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন।
গত মার্চ মাসে চীন ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘থাং-গা’র পেইন্টারের জন্মস্থান’ জাপানের এনএইচকের বেশ কয়েকটি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। চমত্কার থাং-গা শিল্প এবং তিব্বতি জাতির তরুণ-তরুণীদের পরিশ্রমের গল্প অনেক জাপানি দর্শককে মুগ্ধ করেছে। জাপানি দর্শকেরা পৃথক পৃথকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ প্রামাণ্যচিত্রের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তারা বলেন, ‘আমার লক্ষ্য হলো নিজের জীবনে স্বচখে প্রকৃত থাং-গা উপভোগ করা’। ‘থাং-গার পেইন্টাররা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে বড় হন এবং নিজ নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। যা সত্যিকার ভালো একটি প্রামাণ্যচিত্র।’
জাপানি দর্শকদের মধ্যে এ প্রামাণ্যচিত্রের সমাদৃত হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ইনওই তাকাশি বলেন, তিব্বতি জাতির সংস্কৃতির প্রতি জাপানি দর্শকদের অনেক আগ্রহ রয়েছে। তা ছাড়া, এ প্রামাণ্যচিত্রের প্রধান চরিত্রের অভিজ্ঞতাও অনেক মনোমুগ্ধকর। নারী চরিত্র সেছিংলামু নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে বিখ্যাত থাং-গা পেইন্টার হয়ে ওঠেন এবং তার জীবনে বিশাল পরিবর্তন আসে। পুরুষ চরিত্রটি আগেই বিদ্রোহী একজন তরুণ ছিলেন। তিনি পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করেন। তাদের বড় হওয়া এবং পরিশ্রমের পদ্ধতি চীনা দর্শক, জাপানি দর্শক তথা বিশ্বের দর্শকদের মধ্যে একই আবেদন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।