প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক তাকেউচি রিও-China Radio International
বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন আগের চেয়ে বেশি সিরিয়াস। দেশগুলো সাধ্যমতো মহামারী মোকাবিলার চেষ্টা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, মহামারীর এই প্রকোপ কমে আসবে এবং একসময় বিশ্ব মহামারীর কবল থেকে রেহাই পাবে। চীনেও ইদানিং বিভিন্ন স্থানে আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বাড়ছে, যদিও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। চীন বরাবরের মতোই নিজের মহামারী প্রতিরোধক ব্যবস্থার ওপর আস্থাশীল। মহামারীর প্রথম ঢেউ সফলভাবে মোকাবিলার পর চীনে যে অধিকাংশ সামাজিক ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হয়েছিল, তা এখনও মোটামুটি সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। শুধু যেসব স্থানে নতুন করে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে, সেসব স্থানে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে সাময়িক লকডাউনও ঘোষণা করা হচ্ছে। তবে, সার্বিকভাবে চীনে মহামারী নিয়ন্ত্রণে আছে বললে বাড়িয়ে বলা হবে না।
‘বিশ্বে একমাত্র চীনই পারে মহামারীর মোকাবিলায় এতো দ্রুত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে।’ না, এ কথা আমরা বলিনি, বরং একজন বিদেশি পরিচালক নিজের প্রামাণ্যচিত্রে এভাবে চীনের প্রশংসা করেছেন। তার নাম তাকেউচি রিও। আজকের ‘আলোছায়া’য় আমরা তাকেউচি রিও নামের এই পরিচালকের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো।
ছয় মাস আগে তিনি ‘Long Time No See, Wuhan’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে উহান শহরে মহামারীর বয়ে আনা ক্ষয়ক্ষতি ও কষ্ট তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, মহামারীর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা উহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথাও প্রকাশ করা হয়।