আতশবাজি শিল্পী ছাই কুও ছিয়াং-China Radio International
‘Sky Ladder: The Art of Cai Guo-Qiang’ নামে এই প্রামাণ্যচিত্রে প্রধানত ‘স্কাই ল্যাডার’ আতশবাজির জন্ম নেওয়ার প্রক্রিয়া তুলে ধরা হয়।
অস্কার বিজয়ী কেভিন ম্যাকডোনাল্ড দু’বছর ধরে শুটিং করেন। এতে ৮০ দশকে ছাই কুও ছিয়াংয়ের ছুয়েনচৌ থেকে রওনা হয়ে ৩০ বছরে পাঁচটি মহাদেশের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বড় হওয়া এবং আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক মঞ্চের বিখ্যাত শিল্পী হওয়ার গল্প তুলে ধরা হয়।
১৯৫৭ সালে ছাই কুও ছিয়াং ফোংশুইতে বিশ্বাসী এমন একটি ফিশিং গ্রাম, অথবা ছুয়েনচৌতে জন্মগ্রহণ করেন।
চীনা জনগণের দৃষ্টিতে ফোংশুই মানে অদৃশ্য শক্তি। ছোটবেলায় অনেক বাচ্চার মতো ছাই কুও ছিয়াংয়েরও মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন ছিল।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মনে করেন, মহাকাশের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সেতু হলো শিল্প। ছোটবেলায় গ্রামের বয়স্করা তাকে জানান যে, ৫০০ মিটার উুঁচুতে দাঁড়িয়ে মেঘ ও তারা স্পর্শ করা যায়। তাই ‘মেঘ ও তারা স্পর্শ করার’ স্বপ্ন চিরদিন তার মনে গেঁথে যায়। এই ৫০০ মিটার হলো ‘স্কাই ল্যাডার’ নামে আতশবাজি পরিবেশনার উচ্চতা।
আসলে এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ‘স্কাই ল্যাডার’ নামে আতশবাজি পরিবেশনার চেষ্টা করেছিলেন এই শিল্পী। প্রথমবার ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডে চেষ্টা করেন তিনি। তবে, সেখানকার খারাপ আবহাওয়ার জন্য তা ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বার শাংহাই শহরে চেষ্টা করেন। তবে, নাইন-ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার কারণে তার আতশবাজির পরিবেশনা বাতিল করা হয়। তৃতীয়বার ২০১২ সালে লস এঞ্জেলসে চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কায় তার আতশবাজি পরিবেশনার অনুমোদন বাতিল করা হয়।
আস্তে আস্তে ছাই কুও ছিয়াং বুঝতে পারেন, বড় শহরে তার এই আতশবাজি পরিবেশনা করা সম্ভব নয়। তাই মাত্র ৪০০ মানুষের জন্মস্থান হুই ইউ দ্বীপ নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ স্থান।
তাই তিনি জন্মস্থানে ফিরে আসেন। আসলে ‘স্কাই ল্যাডার’ নামে এই আতশবাজি পরিবেশনার আরো গভীর অর্থ আছে।