আতশবাজি শিল্পী ছাই কুও ছিয়াং-China Radio International
এক হাজার বছরেরও আগে চীনারা গানপাউডার বা বারুদ আবিষ্কার করেন। এরপর লোকজন বারুদ দিয়ে পটকা ও আতশবাজি তৈরি করে। বর্তমানে আতশবাজির প্রতি ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিদেশিদের আগ্রহ চীনাদের চেয়েও বেশি।
নববর্ষ উপলক্ষ্যে ব্রিটেনের লন্ডন ও এডিনবার্গসহ বিভিন্ন জায়গার আইকনিক ভবনের সামনের রাস্তায় লোকজন আতশবাজি উপভোগ করেন।
প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে মার্কিনীরা কনসার্ট আয়োজন করে থাকেন। আতশবাজির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে থাকেন আমেরিকানরা।
প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে জাপানে আতশবাজি উত্সবের আয়োজন করা হয়; যা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
তা ছাড়া, ফ্রান্স, গ্রিস, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, রাশিয়া, জার্মানি ও বেলজিয়ামসহ আরো অনেক দেশ আতশবাজি ফাটাতে খুব পছন্দ করে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা সারা বিশ্বে বারুদের ব্যবহারে দক্ষ এক ব্যক্তির সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। তার নাম হলো ছাই কুও ছিয়াং।
আতশবাজি পরিবেশনা সবসময়ই বেশ আকর্ষণীয় পরিবেশনা। অন্ধকার রাতে আতশবাজি ফোটানো হয়, দারুণ উজ্জ্বলতার পর খুব দ্রুত তা বিলীন হয়ে যায়।
২০০৮ সালে ২৯তম বেইজিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আতশবাজি পরিবেশনা এখনও অনেকের মনে আছে। ২৯টি বিশাল আশতবাজির তৈরি আলোকসজ্জা ১৫ কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা গিয়েছিল। এটি প্রতি দুই সেকেন্ড পরপর বার্ডনেস্ট বা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের দিকে ছুটে যাচ্ছিলো।
মানুষ কল্পনাও করতে পারেন নি যে, এই বারুদ দিয়ে তৈরি আতশবাজি এত চমত্কার হতে পারে। এসব আতশবাজি দিয়ে অন্ধকার আকাশের বুকে তৈরি ডিজাইন সত্যিই মানুষের মনে দারুণ প্রভাব ফেলেছিল।