ক্রীড়াবিষয়ক চলচ্চিত্র ‘Tough Out’-China Radio International
‘Tough Out’ নামে এ চলচ্চিত্রে চীনের জুনিয়র বেসবল দলের গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
এই জুনিয়র বেসবল দলের সদস্যরা একটু বিশেষ ধরণের। তারা হচ্ছে গ্রামে থেকে যাওয়া কিশোর। তাদের বাবা-মা কাজের জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়েছেন; তবে তারা গ্রামে রয়ে যায় ও সেখানেই জীবনযাপন করছে। চলচ্চিত্রে ক্রীড়ার মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের গল্প তুলে ধরা হয়।
সম্প্রতি এ চলচ্চিত্রের পরিচালক সুই হুই চিং সিনহুয়া বার্তা সংস্থায় দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ক্রীড়ার উত্সাহব্যঞ্জক শক্তি চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরায় তা আরো বেশি আবেদন সৃষ্টি করেছে।
চীনের সিনেমা হলে প্রদর্শিত ক্রীড়াবিষয়ক ‘Tough Out’ চলচ্চিত্রটি চলতি বছরের তরুণদের নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র এবং তা শ্রেষ্ঠ পূর্ণ দৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার লাভ করে। তা ছাড়া, সদ্যসমাপ্ত চীনের কুয়াংচৌ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উত্সবে জুরিবোর্ডের সুপারিশে এ প্রামাণ্যচিত্রটি পুরস্কার ছিনিয়ে নেয়। পরিচালক সুই হুই চিং বলেন, এ চলচ্চিত্র তৈরির তিন বছরের মধ্যে বেসবল সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজানা একদল তরুণের দুর্দান্ত সফলতা পাওয়া পর্যন্ত নানা ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ছাং বাং’ অথবা ‘শক্তিশালী ও চমত্কার’ নামে এই বেসবল দলের কোচের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছেন চীনের জাতীয় বেসবল দলের সদস্য। তারা দিনের পর দিন যে কাজটি করেছেন তা হলো, তরুণদের মধ্যে যারা বেসবল খেলায় দক্ষ তাদেরকে প্রাদেশিক ও জাতীয় দলে পাঠানো এবং তাদেরকে ভালো ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নেওয়া। তাদের ধরে রাখার চেতনা আমাকে দারুণ মুগ্ধ করেছে।
পরিচালক বলেন, দলের সদস্যদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আপনি তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বুঝতে পারবেন। এই দলের সদস্যদের বেশিরভাগই পাহাড়ি অঞ্চল থেকে এসেছে। তাদের বাবা মা সারা বছর ধরে শহরে কাজ করেন বা ছোটবেলা থেকেই তারাই অনাথ। সুন লিং ফোং নামে বেশ কয়েকজন কোচ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদেরকে বেইজিংয়ে নিয়ে আসেন। তারা মনে করেন, গ্রাম থেকে আসা এসব কিশোর শহরের কিশোরদের তুলনায় আরো বেশ কষ্ট সহ্য করতে পারবে। পাশাপাশি, তারা আশা করেন, ক্রীড়ার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যত আরো বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।