একজন জার্মান অভিনেতার ‘হংকং স্বপ্ন’-China Radio International
তিনি বলেন, মহামারীর সময়, এ মহামারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও মোকাবেলার পদ্ধতি ছিল ভিন্ন রকম, তাই ফলাফলও ভিন্ন রকম হয়েছে। চলচ্চিত্র মানবজাতির ভাবানুভূতি সংযোগ করতে পারে এবং মতভেদের বিষয়কে গ্রহণযোগ্য সুন্দর জিনিসে রূপান্তর করতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গত শতকের ৯০ দশক ছিল হংকংয়ের চলচ্চিত্রের সোনালি সময়। সে সময় জোন উ, ওয়োং কার উয়াই, চাং উয়েন থিংসহ স্পষ্ট ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন। তখনকার সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক শিল্প এশিয়া তথা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হংকংয়ের চলচ্চিত্র ও টিভি নাটক শিল্প তেমন উজ্জ্বলতা ছড়ায় নি।
এ অবস্থায় ই ইউ হাং মনে করেন, নিয়মিত ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে যাওয়া উচিত্। ঐতিহ্যবাহী উপায়ে পুরোনো বিষয় সৃষ্টি করা যাবে না।
চীনের মুল ভূভাগে প্রবেশের জানালা এবং বিশ্বের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ জানালা হিসেবে হংকং আন্তর্জাতিক আর্থিক কেন্দ্র ছাড়াও, পূর্ব ও পশ্চিমা সংস্কৃতির সমন্বয়ের স্থান।
তিনি বলেন, হংকংয়ের ভৌগলিক প্রাধান্য এবং অর্থনৈতিক মর্যাদার ভিত্তিতে বিশ্বের আরও বেশি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, সাংস্কৃতিক সৃজনশীল শিল্প উন্নত করা এবং তরুণ-তরুণীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আরো বেশি সুযোগ দেওয়া উচিত্। এক্ষেত্রে সরকারের সমর্থন প্রয়োজন। ফলে শিল্প, চলচ্চিত্র ও মিডিয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে হংকংবাসী আরো দূরে এগিয়ে যেতে পারবেন।