একজন জার্মান অভিনেতার ‘হংকং স্বপ্ন’-China Radio International
আজ আমরা একজন জার্মান অভিনেতার জীবনের ঘটনার সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো।
তাঁর নাম জুলিয়ান গার্টনার, চীনা নাম ই ইউ হাং। তিনি টানা দশ বছর ধরে হংকংয়ে বাস করছেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি নরওয়েগামী প্রমোদ তরীতে চীনা পর্যটকদের দেখেন। সেই থেকে অপরিচিত দেশ চীনের প্রতি তাঁর আগ্রহের শুরু হয়। ‘সে সময় চীনাদের স্বাধীন ও উন্মুক্তকরণের চিন্তাভাবনা আমার আশেপাশের মানুষের চেয়ে বেশ ভিন্ন রকম ছিল।’ তিনি দশ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রমোদ তরীতে চীনাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা এভাবেই স্মৃতিচারণ করেন। তারপর চীনের প্রতি কৌতূহল নিয়ে তিনি চীনে আসেন এবং ২০০৮ সালে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। তারপর তিনি হংকংয়ে বাস করতে শুরু করেন।
এক দশক পর তাঁর মর্যাদা ছাত্র থেকে উদ্যোক্তা ও অভিনেতা পর্যন্ত অব্যাহতভাবে রূপান্তরিত হয়। বহুমুখী এই সংস্কৃতি শহরে তাঁর ‘হংকং স্বপ্ন’ ধাপে ধাপে বড় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘আমি একটি সেতু হয়ে উঠতে চাই এবং পূর্ব ও পশ্চিমের সংযোগ করতে চাই।’
ই ইউ হাং এখন হংকংয়ের পিং চাউ দ্বীপে বাস করছেন। দ্বীপের আয়তন এক বর্গকিলোমিটারেরও কম। হংকংয়ের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের অনেক ঝামেলা থেকে পিংচাউ দ্বীপে তাঁর জীবন প্রশান্তিময় ও উন্নত। তিনি একাই তিন তলার একটি ভবনে বাস করেন।
মানুষের ভিড় ও স্থানীয় পরিবহনব্যবস্থার সঙ্গে তিনি প্রথমে অভ্যস্ত ছিলেন না। রাস্তায় প্রতিটি লোক দ্রুত গতিতে সামনে এগিয়ে যান। ই ইউ হাং মনে করেন, হংকংয়ের আকর্ষণীয় শক্তি হচ্ছে এর সংস্কৃতির সহনশীলতা।
তিনি বলেন, পূর্ব ও পশ্চিমা জগত যেন দুই নতুন মানুষ এসে হংকংয়ে মিলিত হয়, সমন্বিত হয় এবং একে অপরকে আলিঙ্গন করে।
ই ইউ হাং বলেন, চীনা বা জার্মান, এমন লেবেল তার প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। কারণ হংকংয়ের উন্মুক্তকরণ তাকে নতুন একটি মর্যাদা দিয়েছে, তিনি একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তি।