জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীনের ভূমিকা
জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলা করা হল গোটা মানবজাতির মুখোমুখি অভিন্ন চ্যালেঞ্জ। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে, চীন সবসময় জলবায়ুর পরিবর্তনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। চীন হল ‘জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামোগত কনভেনশন’-এর প্রথম দফা স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর অন্যতম। চীন সবচেয়ে আগে ‘প্যারিস চুক্তি’তে স্বাক্ষর করে এবং তা অনুমোদন দেয়ার দেশগুলোর অন্যতম। চীন নিজের অবদান বাড়াতে এবং সক্রিয় ফলাফল অর্জন করতে সক্রিয়ভাবে ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সম্মেলনে চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের পরিবেশ সম্পদ বিভাগের উপ প্রধান ওয়েন হুয়া বলেন, বর্তমানে চীন বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সম্পূর্ণ নতুন জ্বালানি শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। ২০২৩ সালে চীনের ফটোভোলটাইক বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে এবং রপ্তানিকৃত বায়ু জ্বালানি ও ফটোভোলটাইক পণ্যগুলো অন্যান্য দেশকে প্রায় ৮১ কোটি টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে অ-ফসিল জ্বালানির ব্যবহার ২০২৩ সালে জ্বালানি ভোগের ১৭.৯ শতাংশ এবং কয়লা ব্যবহারের অনুপাত ২০১৩ সালের ৬৭.৪ শতাংশ থেকে কমে ৫৫.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বন মজুদের পরিমাণ ১৯.৪৯ বিলিয়ন কিউবিক মিটারে পৌঁছেছে, যা ২০০৫ সালের তুলনায় ৬.৫ বিলিয়ন ঘনমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত, চীনে বায়ু জ্বালানি ও সৌর বিদ্যুতের মোট ইনস্টল করা ক্ষমতা ১.২ বিলিয়ন কিলোওয়াটে পৌঁছেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ২.২৫ গুণ বেশি এবং ২০৩০ সালের নির্ধারিত ইনস্টল করা ক্ষমতা লক্ষ্যমাত্রা ছয় বছর আগেই অর্জন করেছে।
বহু বছর ধরে চীন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে সমর্থন করেছে। গত অক্টোবর পর্যন্ত, চীন ইতোমধ্যে ৪২টি উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে ৫৩টি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা স্মারকলিপি স্বাক্ষর করেছে এবং প্রায় এক শ’টি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প চালু করেছে।