কাজানে আসন্ন ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সংহতি ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জোর দেবে চীন
গ্লোবাল সাউথ দেশগুলোর মধ্যে উন্মুক্ততা এবং সংহতি গড়ে তোলার জন্য ব্রিকসকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে চীন। প্রথম থেকেই চীন এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ কারণে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনকেও চীন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ নীতিরই ধারাবাহিকতায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বেইজিংয়ে ঘোষণা করেছে যে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠেয় ১৬তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
আন্তর্জাতিক বিষয়ের বিশ্লেষকরা এই বছরের শীর্ষ সম্মেলনটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, কারণ তারা বলেছেন যে, এটি ব্রিকসের সাম্প্রতিক ঐতিহাসিক সম্প্রসারণের পরে প্রথম শীর্ষ সম্মেলন এবং এটি সদস্য দেশগুলোর ‘বৃহত্তর ব্রিকস সহযোগিতা’ বলে অভিহিত করার প্রথম বছরও বটে।
সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ছোট-গোষ্ঠী এবং বৃহৎ-গোষ্ঠী আলোচনার পাশাপাশি ব্রিকস প্লাস নেতাদের সংলাপে অংশ নেবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন।
তিনি বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, ব্রিকস ব্যবহারিক সহযোগিতা, ব্রিকস প্রক্রিয়ার বিকাশ এবং অভিন্ন উদ্বেগের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে নেতৃবৃন্দের সাথে গভীরভাবে মতবিনিময় করবেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত শুক্রবার বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “বৃহত্তর ব্রিকস সহযোগিতার স্থির ও টেকসই উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালাতে, গ্লোবাল সাউথ বা বিশ্ব-দক্ষিণের জন্য সংহতির মাধ্যমে শক্তি খুঁজতে এবং যৌথভাবে বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করতে চীন অন্যান্য পক্ষের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।” .
তিনি বলেন, ব্রিকস প্রতিষ্ঠার পর থেকে সদস্য দেশগুলো সবসময় উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি এবং জয়-জয় সহযোগিতার চেতনাকে সমুন্নত রেখেছে।