মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বাজছে
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের নতুন সুর উঠেছে এবং এই সংকট ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ইসরাইল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরে চললেও, সম্প্রতি এই সংঘর্ষ তীব্র রূপ নিয়েছে। ইসরাইলি বিমান হামলা এবং স্থল আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইরান তার সামরিক উপস্থিতি দেখাতে শুরু করেছে। ইরান প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক ও কৌশলগত অবস্থানে, যা মধ্যপ্রাচ্যে এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এ সংঘাত শুধুমাত্র ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ইরান ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির অংশগ্রহণে একটি বৃহত্তর যুদ্ধের পূর্বাভাস দিচ্ছে।
১. সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও সংঘাতের প্রেক্ষাপট:
হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে ইসরাইলি বিমান হামলায় হত্যা করার খবরের পরপরই লেবানন ও ইসরাইলের সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরাইলি বাহিনী লেবাননের অভ্যন্তরে আকাশপথে হামলা চালায় এবং স্থল বাহিনীও সক্রিয় হয়। হিজবুল্লাহ এ হামলার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরও হামলার হুমকি দেয়। এই সংঘাতের প্রতিক্রিয়ায় ইরান তার শক্তি প্রদর্শন করে এবং ইসরাইলের বিভিন্ন টার্গেটে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ইসরাইল-ইরান সংঘাত বহুদিনের একটি বিতর্কিত বিষয়। ইরানের সমর্থনপ্রাপ্ত হিজবুল্লাহকে বহু বছর ধরে হুমকি মনে করত ইসরায়েল। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী বাহিনী (IRGC) হিজবুল্লাহকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ ও অর্থায়ন করে থাকে। সম্প্রতি নাসরাল্লাহর হত্যার ঘটনাটি এই সংঘাত তীব্র রূপ নেয়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করেছে, যা লেবাননজুড়ে বড় আকারের ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে।
২. আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রভাব