সার্বিক জনগণতন্ত্র হলো চীনের দুটি অলৌকিক ঘটনা সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়তা: সিএমজি সম্পাদকীয়
৭৫ বছরের উন্নয়নের পর চীনের গণতন্ত্রের অবস্থা কী? আসুন একসঙ্গে জেনে নেওয়া যাক। দুই বছর আগে সম্পন্ন হওয়া চীনের জেলা এবং থানা পর্যায়ের গণকংগ্রেসের সাধারণ নির্বাচনে ১ বিলিয়নেরও বেশি ভোটার, এক জনের একটি ভোটে, সরাসরি ২.৬ মিলিয়নেরও বেশি জেলা এবং থানার গণকংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতি বছর চীনের ‘দুই অধিবেশন’ চলাকালীন জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রতিনিধি এবং চীনের গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের সদস্যরা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য জনগণের ইচ্ছা বেইজিংয়ে নিয়ে আসেন। নানা আইনের প্রণয়নে জনগণের অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজারেরও বেশি তৃণমূলের আইন প্রণয়নের যোগাযোগ স্টেশন স্থাপন করা হয়। বলা যায়, চীনা-শৈলীর গণতন্ত্র কেবল জাতীয় নীতি প্রণয়নেই প্রতিফলিত হয় না, বরং জনগণের পোশাক ও খাবারের খুঁটিনাটি বিস্তারিত তথ্যেও প্রতিফলিত হয়।
বিশেষ করে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে চীনের ক্ষমতাসীন দল গণতান্ত্রিক রাজনীতির উন্নয়নের শৃঙ্খলা সম্পর্কে তার বোঝাপড়াকে আরও গভীর করেছে এবং ‘সার্বিক জনগণতন্ত্র’ ধারণাটি প্রস্তাব করেছে, যা বহির্বিশ্বের ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে ভিন্ন, চীনের সার্বিক জনগণতন্ত্র সর্বব্যাপী ও সর্বজনীন কভারেজসহ গণতন্ত্র, সবচে বিস্তৃত, খাঁটি এবং কার্যকর সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র।
বিশ্ব গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকাশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, চীনা বৈশিষ্ট্যময় গণতন্ত্রের অন্বেষণ এবং অনুশীলন সমান মূল্যবান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশ্ব কাঠামোর গভীর পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছু পশ্চিমা দেশ উচ্ছৃঙ্খল শাসন এবং গণতান্ত্রিক বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন হয়েছে। যাহোক, তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে সংজ্ঞায়িত করার অধিকারকে একচেটিয়া করার চেষ্টা করে, আধিপত্য এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ বজায় রাখার জন্য একটি হাতিয়ার হিসাবে ‘গণতন্ত্র’কে ব্যবহার করে আসছে এবং তথাকথিত ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ জোরপূর্বক প্রচার করে আসছে, যা বিশ্ব গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে গুরুতর আঘাত হেনেছে।