সার্বিক জনগণতন্ত্র হলো চীনের দুটি অলৌকিক ঘটনা সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়তা: সিএমজি সম্পাদকীয়
অক্টোবর ৪: ‘বিগত ৭৫ বছরে আমাদের পার্টি দেশের সকল জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে একত্রিত ও নেতৃত্ব দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক স্থিতিশীলতা— এ দুটি অলৌকিক ঘটনা সৃষ্টি করেছে...’ গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এভাবে নয়াচীনের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরেছেন।
বিশ্বের ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার দিকে তাকালে দেখা যায়, চীনের মতো হাতেগোনা কয়েকটি দেশ মাত্র পৌনে এক শতাব্দীতে জাতীয় সমৃদ্ধি ও জনগণের সুখী জীবন নিশ্চিত করেছে। চীন কেন পারে? অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক গণতান্ত্রিক রাজনীতি এবং জাতীয় শাসনের কার্যকারিতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ ও চিন্তা করেন। জনগণকেন্দ্রিক শাসন ধারণা থেকে শুরু করে সার্বিক জনগণতন্ত্রের ব্যবস্থা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় বহির্বিশ্ব চীনের উন্নয়ন ও অগ্রগতির গভীর যুক্তি দেখেছে। চীনের গণতান্ত্রিক রাজনীতির বাস্তব অভিজ্ঞতা বিশৃঙ্খল ও পরিবর্তনশীল এই বিশ্বের জন্য দরকারী প্রজ্ঞা দিয়েছে।
‘গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সকল ক্ষমতা জনগণের’—এটি চীনের সংবিধানে নিহিত একান্ত অঙ্গীকার। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার পর, ‘সমস্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা জনগণের কাছে থাকে’, তা নিশ্চিত করার জন্য গণকংগ্রেস ব্যবস্থা এবং বহুদলীয় সহযোগিতা ও রাজনৈতিক পরামর্শ ব্যবস্থার মতো ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জনগণকে দেশের মালিক বানানোর নয়া চীনের প্রতিষ্ঠাতাদের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে।