চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বিশ্বে নতুন শক্তি প্রদান করেছে: সিএমজি সম্পাদকীয়
অক্টোবর ৩: সাম্প্রতিক কালে চীনের কুইচৌ প্রদেশের পিংথাং জেলায় অবস্থিত থিয়েনওয়েন থানা অত্যন্ত প্রাণবন্ত একটি স্থানে পরিণত হয়েছে। যেহেতু চীনের জাতীয় দিবসের ছুটির সময়, তাই বিপুল সংখ্যক চীনা এবং বিদেশী পর্যটক এখানে ‘চায়না স্কাই আই’, অথবা বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচে সংবেদনশীল একক-অ্যাপারচার রেডিও টেলিস্কোপ ফাস্ত পরিদর্শন করতে আসেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এর নির্মাণ সম্পন্ন হবার পর থেকে ফাস্ত শুধুমাত্র বিশ্বের জন্য আরও দূর ও আরও স্পষ্টভাবে দেখার সুযোগ এনে দেয়নি, বরং মহাবিশ্বের রহস্য এবং আন্তর্জাতিক আদান-প্রদান ও সহযোগিতার মানব অন্বেষণে আরও বেশি চীনা জ্ঞানের অবদান রেখেছে।
‘চায়না স্কাই আই’ এর সাফল্য চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কৃতিত্বের একটি মাইক্রোকসম। চলতি বছর গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। গত ৭৫ বছরে, ‘পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপনাস্ত্র এবং স্যাটেলাইটে’র সফল উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে মহাকাশে ভ্রমণ করা, বেইতৌ নেভিগেশনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নির্ভুল পরিষেবা প্রদান করা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রোটোটাইপ ‘চিউ চাং’-এর আবির্ভাব এবং উচ্চ-গতির রেল প্রযুক্তি বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়া পর্যন্ত, কয়েক প্রজন্মের অবিরাম প্রচেষ্টার পর চীন বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ল্যান্ডস্কেপের একটি গুরুত্বপূর্ণ মেরুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার উদ্যোগে প্রকাশিত ২০২৪ বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক অনুসারে, চীনের উদ্ভাবন সূচক র্যাঙ্কিং গত বছরের থেকে এক ধাপ বেড়ে ১১তম স্থানে উঠে এসেছে, এটি শীর্ষ ৩০টির মধ্যে একমাত্র মধ্যম আয়ের অর্থনৈতিক সত্তা।