পারস্পরিক কল্যাণ ও জয়-জয় নীতির ভিত্তিতে বিশ্বের সাথে চীনের সহযোগিতা প্রসঙ্গ
শিল্প-চেইন ও সরবরাহ-চেইন হলো বিশ্বের অর্থনীতি উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। বিশ্বের সরবরাহ-চেইনে চীনের অবস্থান দিন দিন উন্নত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানিসম্পদ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী বিক্রি হওয়া বৈদ্যুতিক গাড়ির অর্ধেকের বেশি চীনে উত্পাদিত হয়েছে।
বর্তমানে চীন ব্যাপকভাবে নতুন মানের উত্পাদিত শক্তি খাতে উন্নতি করছে। বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বের উদ্ভাবন-তালিকায় গত বছর চীন এগারো নম্বরে ছিল।
বিদেশে চীনা বিনিয়োগ স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে চলেছে। ২০২৩ সালে বিদেশে চীনের সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৭৭.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বের মোট বিনিয়োগের ১১.৪ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে টানা ১২ বছর ধরে বিশ্বের প্রথম তিনটি স্থানে ছিল চীন।
চীন গভীরভাবে বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলার যৌথ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে আসছে এবং উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তোলায় অবদান রেখে আসছে। চীন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ এবং তিনটি বিশ্ব প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিভিন্ন ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে আসছে এবং যৌথ বাণিজ্য, নির্মাণ ও সাফল্য শেয়ার করার প্রস্তাব করে আসছে।
চীন বিশ্বকে ছাড়া বিকশিত হতে পারে না এবং বিশ্বও চীনকে ছাড়া বিকশিত হতে পারে না। একটি উন্মুক্ত চীন বিশ্বের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ একবার বলেছেন, গত ৭৫ বছরে চীন অতুলনীয় উন্নয়ন-সাফল্য অর্জন করেছে এবং বিশ্বকে নিয়ে অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।