ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক নিষ্পত্তিতে ছয়টি ঐকমত্য: একটি বিশ্লেষণ
ইউক্রেন সংকট চলমান বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম আলোচিত ইস্যু। এ যুদ্ধ মানবিক সংকট, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই সংকট নিরসনের জন্য বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে, তবে এখনও স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। এ প্রেক্ষাপটে ‘ছয়টি ঐকমত্যের’ বিষয়ে ১১০টিরও বেশি দেশ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সমাজের সাধারণ প্রত্যাশা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত শুক্রবার বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক নিষ্পত্তিতে চীন ও ব্রাজিলের ছয়টি ঐকমত্য এ পর্যন্ত ১১০টিরও বেশি দেশের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে এবং যা আন্তর্জাতিক সমাজের সাধারণ প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এ ছয়টি ঐকমত্য সম্পর্কে মাও নিং বলেন, ‘চীন ও ব্রাজিলের প্রস্তাবিত ছয়টি ঐকমত্যের লক্ষ্য হল পরিস্থিতি প্রশমনের এই জরুরি কাজের ওপরে ফোকাস করা। ঐকমত্যটি ‘তিনটি নীতি’ মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়, অর্থাৎ যুদ্ধক্ষেত্র ছড়িয়ে না দেওয়া, যুদ্ধ বাড়িয়ে না দেওয়া, পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের বিরোধিতা করা, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার বিরোধিতা করা এবং বিশ্বব্যাপী শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। শান্তি আলোচনার প্রচার এবং ইউক্রেনীয় সংকটের রাজনৈতিক নিষ্পত্তিতে চীন গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাবে বলেও উল্লেখ করেন মুখপাত্র।
ছয়টি ঐকমত্যের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো।
১. আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা
এই ঐকমত্যের প্রথম ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে প্রতিটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা অত্যাবশ্যক। ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা এই ঐকমত্যের মাধ্যমে জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি চীন ও ব্রাজিল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে, কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে সামরিক হস্তক্ষেপ সমাধানের পথ হতে পারে না।