সি’র দূরদর্শী ভাবনা: চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার উজ্জ্বল ভবিষ্যত তারুণ্যের শক্তিতে
তারা যে সুযোগগুলো পেয়েছেন তার জন্য প্রেসিডেন্ট সি ও চীনের প্রতি কৃতজ্ঞবোধ করেন। কারিউকিসহ কেনিয়ার ছাত্রদের প্রতিনিধিরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা ২০২৩ সালের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট সিকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তারা রেল পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আরও জানতে চীনে এসে তাদের দুর্দান্ত আনন্দময় অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছিলেন।
২০২৩ সাল দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী, সেইসাথে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র (বিআরআই) ১০ম বার্ষিকী হিসাবে চিহ্নিত করেছে, যার উদগাতা প্রেসিডেন্ট সি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই চিঠির উত্তরের, সি বলেন যে, বিআরআই চীন ও কেনিয়ার উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের আদর্শকে বাস্তবে পরিণত করেছে। মোম্বাসা-নাইরোবি এসজিআরকে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন এটি দুই দেশের জনগণের মঙ্গলকে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছে। এটি চীন-কেনিয়া বিআরআই সহযোগিতার একটি সফল উদাহরণ।
প্রেসিডেন্ট সি চিঠিতে লেখেন, “আমি আনন্দিত যে আপনারা এই আনন্দের রাস্তা দিয়ে চীনের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আপনারা চীন-কেনিয়া এবং চীন-আফ্রিকা বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সাক্ষী এবং উপকৃত হয়েছেন এবং আপনারা চীন-কেনিয়া ও চীন-আফ্রিকার মধ্যে আরো গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা গড়ে তুলতে এবং ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছেন।
তিনি আরও যোগ করেন যে, বিআরআই এবং চীন-কেনিয়া ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে তাদের মতো আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং সক্ষম তরুণ ব্যক্তিদের জড়িত করার দাবি করে।
সি’র কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে কারিউকি বলেছেন যে, তিনি দুই দেশের সহযোগিতা এবং অভিন্ন উন্নয়নে অবদান রাখতে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাবেন।
চীন-আফ্রিকা ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বের উত্তরাধিকার এবং চীনা ও আফ্রিকান যুবকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় উভয়কেই সি চি নপিং জিনপিং মূল্য দেন। ২০১৩ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়, তিনি ডারবান ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে যৌথভাবে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যক্ষ করেন। প্রতিষ্ঠার দশ বছরে, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।