বাংলা

সংবাদ পর্যালোচনা চীনের বিদ্যুতচালিত যানবাহন বনাম ইইউ’র ব্যবস্থা

CMGPublished: 2024-08-22 15:40:14
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

অগাস্ট ২২: স্থানীয় সময় গত ২০ আগস্ট ইইউ কমিশন চীনের বিদ্যুতচালিত যানবাহনের বিরুদ্ধে ভর্তুকি-বিরোধী তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে চীনে উত্পাদিত বিদ্যুতচালিত যানবাহনের ওপর ১৭ থেকে ৩৬.৩ শতাংশ ভর্তুকি-বিরোধী শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বাণিজ্যিক সংরক্ষণবাদী প্রস্তাব কার্যকর হলে, চীনা অটোমোবাইল শিল্পই শুধু গুরুতর ক্ষতির শিকার হবে না, বরং চীন ও ইউরোপের সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উত্পাদন ও সরবরাহ চেইনের সহযোগিতাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর মানে, এ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ ইইউ’র ভোক্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ভোগাবে।

বাইরের বিশ্ব লক্ষ্য করছে যে, জুলাই মাসে ঘোষিত প্রাথমিক প্রতিবেদনের সাথে তুলনা করলে, ইউরোপীয় পক্ষ এবার বেশ কয়েকটি চীনা গাড়ি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর শুল্কের হার কিছুটা হ্রাস করেছে। ইউরোপীয় পক্ষের আচরণ থেকে কিছুটা ছাড় ও সমঝোতা করা হয়েছে বলে মনে হয়। তবে, বাস্তবে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম ও ধারণার অপব্যবহার করে, তদন্তকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং ‘ন্যায্য প্রতিযোগিতার’ নামে ন্যায্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে ইউরোপীয় কমিশন চীনা বিদ্যুতচালিত যানবাহনের বিরুদ্ধে ভর্তুকি-বিরোধী তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইউরোপীয় পক্ষের ধারাবাহিক তত্পরতায় ন্যায্যতা ও বৈধতার অভাব স্পষ্ট। একদিকে, তথাকথিত ‘তদন্তে’ স্পস্ষ্টভাবে বাজারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি; অন্যদিকে, পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য, ইসি তথাকথিত ‘ভর্তুকি’ প্রকল্পটি হাতে নেয় এবং অতিরঞ্জন করে। তদন্তের আওতায় রপ্তানির শীর্ষে থাকা ইউরোপীয় ও আমেরিকান শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে রাখা হয়নি এবং কেবল চীনের স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। তাই, গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় অনেক অনিয়ম, অস্বচ্ছতা এবং অন্যায় হয়েছে।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn