অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী এরিক মাসকিন সিএমজিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন
এরিক মাসকিন ১৯৯৬ সালে চীন প্রথমবার এসেছেন। এরপর তিনি অনেক বার চীন সফর করেছেন। চীন সম্পর্কে তিনি জানান, কোনো সন্দেহ নেই, চীন উন্মুক্তকরণ চালিয়ে আসছে, এবং চীন বিশ্বের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহলের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। যাতে করে চীনের পরিবর্তন অনেক এগিয়ে যায়। এতে ৪০ বছরের আগে একটি গরীব দেশ থেকে চীন এখন একটি সমৃদ্ধ ও উচ্চ গতির উন্নয়নের অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
অনেক বছর ধরে এরিক মাসকিন চীনের অর্থনীতি উন্নয়নে নজর রাখছেন। চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে যে চীনা মেধা রয়েছে, তার প্রতি তিনি ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছেন। এ ছাড়া চীন নতুন মানের উৎপাদন শক্তি উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছেন।
তিনি জানান, ‘৪০ বছর ধরে চীন অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। চীনের সাফল্যের কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমত চীন বাজার অর্থনীতি এগিয়ে নিয়েছে। বাজারের শক্তি চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া, বিশ্বের জন্য চীন উন্মুক্তকরণ চালিয়েছে। যা একটি সঠিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ ছাড়া, চীন সরকারের কাঠামও দারুণ সফল বলে আমি মনে করি।’
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘নতুন মানের উৎপাদন শক্তির’ ধারণা উত্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে এরিক মাসকিন অনেক ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তা অনেক অর্থপূর্ণ। ২১ শতকের প্রযুক্তি এখন ২০ শতকের প্রযুক্তিকে প্রতিস্থাপন করছে। চীনের প্রতি, সামনের দিকে থাকা এবং নতুন প্রযুক্তিতে অর্থ ও সম্পদ বিনিয়োগ করা তাৎপূর্যপূর্ণ। যেমন, চীন ইতোমধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ খাতে চীনের বিনিয়োগ অনেক কৌশলী। কারণ, বিশ্বের এসব বৈদ্যুতিক গাড়ি দরকার।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, বিশ্বের অনেক সৌভাগ্য চীনের শক্তিশালী অর্থনীতি আছে। বিশ্ব উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে চীনের অর্থনীতি কাজ করছে। এ ছাড়া, চ্যালেঞ্জের সামনে তা আরও বেশি নিশ্চয়তা দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশকে সহযোগিতা, উন্মুক্তকরণ ও ভাগাভাগির আহ্বানও জানান তিনি। যাতে করে, একযোগে যুগের অগ্রগতি এগিয়ে নেওয়া যায়।