চীনের সংস্কারের নতুন পরিকল্পনা উন্মুক্তকরণের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে
জুলাই ২২: গতকাল (রোববার) চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে গৃহীত ‘সিপিসির কেন্দ্রীয় কমিটির আরো সার্বিকভাবে সংস্কার গভীরতর করা, চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন জোরদার করার প্রস্তাবের’ পুরো বিষয়টা প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে উন্মুক্তকরণ নিয়ে বিশেষ বিন্যাস করা হয়, দৃঢ়ভাবে উন্মুক্তকরণের মৌলিক নীতিতে অবিচল থাকা, উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে সংস্কার বেগবান করা এবং আরো উচ্চ মানের উন্মুক্ত ধরনের নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, তা চীনের উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণের সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে। চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ বিশ্বের জন্য আরো নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
উন্মুক্তকরণ হল চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের বৈশিষ্ট্য। ২২টি অবাধ বাণিজ্যিক পাইলট এলাকা স্থাপন, হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দর নির্মাণ, ‘আঞ্চলিক সার্বিক অর্থনৈতিক অংশীদারি সম্পর্ক চুক্তি’ স্বাক্ষর, বার বার বৈদেশিক পুঁজি চীনা বাজারে প্রবেশের নেতিবাচক তালিকা কমানো, টেলিযোগাযোগ, চিকিত্সাসহ বিভিন্ন সেবামূলক শিল্পে বৈদেশিক পুঁজির যোগদান, উচ্চ মানের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ নির্মাণ করা, চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা, পরিষেবা মেলা ও ভোগ মেলাসহ আন্তর্জাতিক মঞ্চ স্থাপন করা.. ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে গত দশ বছরে চীনের উন্মুক্তকরণ আরো জোরদার হয়েছে। চীন টানা ৭ বছর ধরে বিশ্বে পণ্য বাণিজ্যের বৃহত্তম দেশ হয়ে উঠেছে। বৈদেশিক পুঁজি বিনিয়োগে চীন টানা ১১ বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষ তিনটি স্থানে রয়েছে। চীন বিশ্বের ১৫৫টি দেশ ও অঞ্চলে পুঁজি বিনিয়োগ করেছে।
বর্তমানে, বিশ্বে একতরফাবাদ এবং সংরক্ষণবাদ দেখা যাচ্ছে, অর্থনীতির বিশ্বায়ন বাধার মুখোমুখি হচ্ছে। মানবজাতির সম্মুখীন অভিন্ন সমস্যা এবং নতুন দফার বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ও শিল্প সংস্কারের মুখে, চীন দৃঢ়ভাবে উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ জোরদার করছে, যা বিশ্বের সঙ্গে চীনের সুযোগ শেয়ার করার দৃঢ় সংকল্পের প্রতিফলন।