নতুন যুগে চীনের সংস্কার-নীতি: জনগণই দেশের ভিত্তি
জুলাই ১৭: সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দেশ পরিচালনার একটি মৌলিক নীতি। ১৯৭৮ সালে তত্কালীন শীর্ষনেতা তেং সিয়াও পিংয়ের সভাপতিত্বে, সিপিসি’র ১১তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে, এ নীতি গ্রহণ করা হয়। আর, ২০১৩ সালে সি চিন পিংয়ের সভাপতিত্বে ১৮তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এ নীতি সার্বিকভাবে গভীরতর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনি এক প্রেক্ষাপটে, সম্প্রতি শুরু হয়েছে সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ২০তম তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। এ উপলক্ষ্যে আজকের সংবাদ পর্যালোচনায় থাকছে নতুন যুগে চীনের সংস্কার-নীতি নিয়ে কিছু আলোচনা।
প্রথমে আপনাদেরকে সি চিন পিংয়ের দু’টি গল্প শোনাবো। ২০১২ সালের শেষ দিকে সি চিন পিং ভারি তুষারপাতের মধ্যে হ্যপেই প্রদেশের একটি ছোট জেলা ফুপিংয়ে যান। তিনি প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব ভ্রমণ করেন শুধু স্থানীয় দরিদ্র কৃষকদের জীবনযাত্রা দেখার জন্য। ২০১৯ সাল এপ্রিল সি চিন পিং বিমান, ট্রেন এবং বাস— এ তিন ধরনের পরিবহণের মাধ্যমে পাহাড়ি গ্রাম হুয়াসিতে যান। গ্রামটির মানুষের চরম দরিদ্র দশা তাঁর নজরে আসে। দেশের শীর্ষনেতা হিসেবে সি চিন পিং প্রায়শই একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে স্থানীয় মানুষের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। শীর্ষনেতা হওয়ার পর তিনি একটি অসাধারণ প্রকল্প-সার্বিক দারিদ্র্যবিমোচন বাস্তবায়নে ৮ বছর ব্যয় করেছেন। এতে প্রায় ১০ কোটি গ্রামীণ মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে, যা বিশ্বের অর্থনৈতিক ইতিহাসের একটি অলৌকিক ঘটনা’র সমতুল্য।
সি চিন পিং প্রায়শই বলেন, জনগণই দেশের ভিত্তি, জনগণ ভালো জীবন কাটালে দেশে শান্তি থাকবে। জনজীবিকা মানুষের সুখের ভিত্তি ও সামাজিক সম্প্রীতির ভিত্তি।
প্রায় ৫ হাজার বছর আগের প্রাচীন বই ‘শাং শু’তে এমন কথা লেখা আছে। বলা যায় ‘জনগণই দেশের ভিত্তি’ এই ধারণা চীনের প্রাচীন রাজনৈতিক চিন্তাধারার অসামান্য সারাংশ, আর এটাও চীনা কমিউনিস্ট পার্টি জনগণের জন্য সুখ, জাতির জন্য পুনরুদ্ধার অনুসন্ধানের মূল মিশনের উত্স।