‘সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা+’ শীর্ষসম্মেলনে সি’র বক্তৃতা
দ্বিতীয়ত, একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ সাধারণ পরিবার গড়ে তুলতে হবে। সব দেশ নিরাপদ থাকলেই প্রকৃত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেতে পারে। নিরাপত্তা-সহযোগিতার প্রক্রিয়া ও উপায় উন্নত করা, নিরাপত্তার হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একটি বিস্তৃত কেন্দ্র ও এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজ ত্বরান্বিত করা, একটি মাদকবিরোধী কেন্দ্র গড়ে তোলা, গোয়েন্দা আদান-প্রদান জোরদার করা, এবং যৌথ অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন;
তৃতীয়ত, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অভিন্ন আবাসভূমি গড়ে তুলতে হবে। চীন ২০২৫ সালকে ‘শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার টেকসই উন্নয়নের বছর’ হিসাবে মনোনীত করার প্রস্তাব করেছে এবং "বেল্ট অ্যান্ড রোড"-এর উচ্চ-মানের যৌথ বাস্তবায়নের জন্য সকল পক্ষের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। পেইতৌ স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করতে এবং চাঁদে আন্তর্জাতিক গবেষণাকেন্দ্র নির্মাণে অংশ নেওয়ার জন্য চীন সকল পক্ষকে আহ্বান জানায়। চীন শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ডিজিটাল এডুকেশন অ্যালায়েন্স প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছে এবং এসসিও দেশগুলোকে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের জায়গা দিতে ইচ্ছুক;
চতুর্থত, সুপ্রতিবেশীসূলভ বন্ধুত্বের একটি অভিন্ন স্বদেশ গড়ে তুলতে হবে। ছিংতাও গ্রিন ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এবং উইমেনস ফোরামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সকল পক্ষকে স্বাগত জানায় চীন। আগামী পাঁচ বছরে চীন এসসিও দেশগুলোকে এক হাজার তরুণ-তরুণীর সফর বিনিময়ের সুযোগ দেবে;
পঞ্চমত, ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের একটি সাধারণ পরিবার গড়ে তুলতে হবে। একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমেরুর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের জন্য যৌথভাবে সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা চর্চা করা এবং বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থাকে আরও ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত করতে হবে, এবং এর জন্য শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা শক্তি যোগাবে।
সি চিন পিং আরও বলেন, “চীন এই সংস্থায় তার অংশীদারদের সাথে একসাথে কাজ করতে এবং আরও দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে ইচ্ছুক। তবে, এসব দেশকে ‘শাংহাই চেতনা’ অনুসরণ করতে হবে। এতে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে।”