ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট ও প্রসঙ্গকথা
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আশা প্রকাশ করেন যে, চীন ও বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি লোক উভয় দিকে ভ্রমণ করবেন ও ব্যবসার সুযোগ সন্ধান করবেন এবং আরও বেশি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে। পাশাপাশি, তিনি দু’দেশের জনগণকে ঘন ঘন একে অন্যের দেশ ভ্রমণ করতে এবং চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনমতের ভিত্তিকে সুসংহত করতে উত্সাহিত করেন। তিনি চীনে বিদেশীদের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক ও সুবিধাজনক ভ্রমণ-পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দেন।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে চীন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, দু’দেশের মধ্যে মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ক্রমাগত গভীর হয়েছে, এবং চীনে ভ্রমণ, বিদেশে অধ্যয়ন এবং ব্যবসা করার জন্য বাংলাদেশিদের উত্সাহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে দু’দেশের মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে বিনিময় আরও প্রসারিত হবে। বাংলাদেশ চীনের সাথে অর্থনীতি, বাণিজ্য, মানবিক, শিক্ষা, পর্যটন, ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার আশা করে, যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বৃহত্তর উন্নয়ন সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত এবং চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগে যোগদানকারী প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী পালিত হবে। এ প্রেক্ষাপটে, দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার নতুন নতুন সম্ভাবনাও সৃষ্টি হচ্ছে।