৩০তম বেইজিং আন্তর্জাতিক বইমেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

জুন ২৪: পাঁচ দিনব্যাপী ৩০তম বেইজিং আন্তর্জাতিক বই মেলা শেষ হয়েছে। বই মেলায় ৭১টি দেশ ও অঞ্চলের ১৬০০ প্রদর্শক অংশগ্রহণ করে এবং ২ লাখ ২০ হাজার দেশি-বিদেশি বই প্রদর্শন করা হয়েছে। এক হাজারেরও বেশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ২১০০টিরও বেশি চীনা ও বিদেশি কপিরাইট বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ মানুষ মেলাটি পরিদর্শন করেছেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বইমেলা হিসেবে, বইমেলা চীনের দৃষ্টিতে বিশ্বমুখী। বিশ্বের কাছে চীনা সংস্কৃতির চলে যাওয়া পথ প্রশস্ত করে এবং দেশি-বিদেশি সভ্যতার বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষার সেতু তৈরি করে।
চলতি বছর গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। পিপলস পাবলিশিং হাউসের মহাপরিচালক চিয়াআং মাও নিং বলেন, এবারের বইমেলায় পিপলস পাবলিশিং হাউস ১৩০০টিরও বেশি বই নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রধানত ‘সি চিন পিংয়ের রচনার থেকে নির্বাচিত পাঠ’সহ বিভিন্ন বইয়ের বিভিন্ন ভাষার সংস্করণ প্রদর্শন করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হুনান সাহিত্য ও শিল্প পাবলিশিং হাউস এক একটি ভালো বই নিয়ে বিশ্ব মঞ্চে আবির্ভূত হয়। চীনের উন্নয়নের পথ, চীনের মূল্যবোধ এবং চীনের শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতি ফুটে ওঠা এক দল প্রকাশনা বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে, ফলে চীনা গল্প আরো প্রাণবন্ত এবং চীনের ভাবমূর্তি আরো জীবন্ত হয়ে উঠেছে বলে হুনান সাহিত্য ও শিল্প পাবলিশিং ও মিডিয়া গ্রুপের মহাপরিচালক পোং বো মনে করেন।
বেইজিং ভিত্তিক বুথে ‘চীনা সভ্যতার উত্স ট্রেসিং’ এবং ‘বেইজিংয়ের তিন হাজার’সহ নানা বই বিদেশি প্রকাশকদের সমাদর পেয়েছে। ঐতিহ্যিক সাংস্কৃতিক ভিত্তিক বই ভালো বিক্রি হচ্ছে এবং অধিক থেকে অধিকতর আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মিশরের হিকমাত কালচারাল ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ সাইদ মনে করেন, চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি বিশাল ও গভীর। বইয়ের মাধ্যমে চীনের মেধা প্রকাশ করা এবং সারা বিশ্বকে প্রত্যাশায় পূর্ণ করে তোলা সম্ভব হয়।
