চীন ও আরব অভিন্ন স্বার্থ কমিউনিটি গড়ে তোলার কাজ গতি সঞ্চার হবে: সি এমজি’র সম্পাদকীয়
বাইরের মিডিয়া খেয়ার করেছে যে, বাহরাইন, মিশর, তিউনিসিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার আরব রাষ্ট্রপ্রধান যৌথভাবে বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। ‘আরব সাপ্তাহিক মন্তব্য’-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে যে, চার আরব রাষ্ট্রপ্রধানের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চীন ও আরব সহযোগিতায় রাষ্ট্রপ্রধানদের নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত , এবং চীন-আরব সম্পর্ককে নতুন স্তরে ঠেলে দিতে দু’পক্ষের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ফুটে উঠেছে। চীন ও আরব ‘বেইজিং ঘোষণাপত্র’ এবং ‘চীন-আরব সহযোগিতা ফোরামের ২০২৪-২০২৬ সালের কার্যক্রমের নির্বাহী পরিকল্পনা’সহ দলিলপত্র স্বাক্ষর করেছে, এগুলো সবই এই দৃঢ়প্রতিজ্ঞার সুপ্রতিফলন।
একটি নতুন সূচনায় দাঁড়িয়ে, চীন ও আরব অভিন্ন স্বার্থ কমিউনিটি গড়ে তোলার কাজকে কি কি দিকে চেষ্টা করতে হবে? চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন যে, চীন ও আরবকে ‘ বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মানদণ্ড’ , ‘ উচ্চ গুণগত মানের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের যৌথ নির্মাণকাজের দৃষ্টান্ত’ , ‘বিভিন্ন সভ্যতার সহাবস্থানের দৃষ্টান্ত ’এবং ‘ বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনায় সঠিক পদ্ধতি অন্বেষণের দৃষ্টান্ত’ হওয়ায় কাজ করতে হবে। এই চারটি লক্ষ্যবস্তু চীন ও আরবের সহযোগিতা উন্নয়নের বাস্তব চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়েছে। চীন ও আরব অভিন্ন স্বার্থ কমিউনিটি গড়ে তোলার কাজে দিকনির্দেশনাও দিয়েছে এটি।
লক্ষ্যবস্তু থাকলে এর নির্দিষ্টকাজকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে? আরবের সঙ্গে ‘আটটি যৌথ কার্যক্রমের’ ভিত্তিতে যৌথভাবে ‘পাঁচটি সহযোগিতামূলক পরিস্থিতি’ গড়ে তোলার প্রস্তাব করেছে চীন। এতে অব্যাহতভাবে প্রযুক্তি, অর্থ, পণ্য এবং ব্যক্তিগত প্রবাহের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে এবং ব্যাপকভাবে চীন ও আরব দু’পক্ষের জনগণের উপকৃত হবেন।