চীন ও আরব অভিন্ন স্বার্থ কমিউনিটি গড়ে তোলার কাজ গতি সঞ্চার হবে: সি এমজি’র সম্পাদকীয়
মে ৩১: গতকাল (বৃহস্পতিবার) চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীন ও আরব ফোরামের দশম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, ‘২০২৬ সালে দ্বিতীয় চীন-আরব শীর্ষসম্মেলন আয়োজন করবে চীন, এটি চীন-আরব সম্পর্কে একটি মাইলফলক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি’। এটিও এবারের সম্মেলনে এক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল। চীনের প্রেসিডেন্ট সি আরও চীন-আরব সম্পর্কের পরবর্তী উন্নয়নের দিকনির্দেশনা এবং ‘পাঁচটা সহযোগিতামূলক পরিস্থিতি’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা উত্থাপন করেছেন, যাতে চীন ও আরব অভিন্ন স্বার্থ কমিউনিটি গড়ে তোলার কাজ গতি সঞ্চারকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে লিখিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, ‘ আরব দেশগুলো ও চীনের সম্পর্কে ঐতিহাসিক তাত্পর্য রয়েছে’।
এ বছর চীন ও আরব সহযোগিতামূলক ফোরাম প্রতিষ্ঠার ২০তম বার্ষিকী। বিগত ২০ বছরে চীন ও আরব সম্পর্ক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনশীল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে দক্ষিণ দক্ষিণ সহযোগিতার দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রথম চীন-আরব শীর্ষসম্মেলনে ‘নতুন সময়পর্বে সম্মুখীন চীন ও আরব অভিন্ন স্বার্থ কমিউনিটি গড়ে তোলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো’ প্রস্তাব উত্থাপনের পর, চীন ও আরব সহযোগিতা অধিক থেকে অধিকতর ফলপ্রসূ হয়েছে। বর্তমান ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণকাজ ২২টি আরব দেশে সম্পূর্ণভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দু’পক্ষের ২০০ কোটি জনগণ উপকৃত হন। চীন ও আরবের বাস্তব সহযোগিতায় ‘আটটি যৌথ কার্যক্রমে’ গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক ফলাফলও অর্জিত হয়েছে।
বর্তমান বিশ্ব এক অশান্ত ও সংস্কারপ্রাপ্ত সময়পর্বে দাঁড়িয়েছে। চীন ও আরব উভয়েই প্রতিপক্ষের জাতির পুনরুদ্ধারকাজ বাস্তবায়ন এবং দেশের প্রতিষ্ঠাকাজ দ্রুততর করার সম্মুখীন হচ্ছে, তাই সহযোগিতা জোরদার করার দৃঢ় আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। গতবছর সৌদি আরব ও ইরানের ঐতিহাসিক বোঝাপড়া এবং বেইজিংয়ে হামাস ও ফাতাহের পরামর্শ থেকে আরব উপলব্ধি করেছে যে, মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নে সহায়তা দিতে সদিচ্ছা চীন। এই পটভূমিতে প্রথম চীন ও আরব শীর্ষসম্মেলনের পর ফোরামে আয়োজিত প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হিসেবে এবারের সম্মেলনের এমন অতীতকে ভবিষ্যতের সাথে সংযুক্ত করার তাত্পর্য স্বতঃস্ফূর্ত।