মার্কিন সরকার চীনের বিদ্যুত্ গাড়ির শুল্ক বাড়িয়ে দিতে কে উপকারি হবে?
১৪ মে চীনের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি, সোলার প্যানেল, ইস্পাতসহ অন্যান্য পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এর প্রভাব ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের চীনা আমদানি পণ্যে পড়বে।
নতুন নিয়ম অনুসারে চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ২৫ থেকে শতভাগ শুল্ক আরোপ, ইস্পাত আর অ্যালুমিনিয়ামে ৭.৫ থেকে ২৫ শুল্ক বাড়িয়ে তিনগুণ করা হবে।মার্কিন সরকারের ধারবাহিক পদক্ষেপ চীনা গাড়ি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর কত প্রভাব ফেলবে,মার্কিন গাড়ি শিল্পপ্রতিষ্ঠান কি সত্যি এ থেকে উপকৃত হবে?
বস্তুত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ইভি গাড়ি বিদেশে বিক্রির পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে,বিদেশে চীনা গাড়ি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দ্রুত উন্নয়নের বাধায় শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।তবে মার্কিন বাজারে চীনা গাড়ির পরিমাণ খুবই সামান্য।যাত্রী পরিবহন সমিতির পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রপ্তানি চীনা গাড়ির মোট সংখ্যা ৭৪ হাজার ৮০০টি,যা চীনের গাড়ি রপ্তানির ১.৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে, এর মধ্যে ইভি গাড়ির রপ্তানি পরিমাণ ১৮ হাজার ৬০০টি,রপ্তানির ০.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে,তাই বলা যায় মার্কিন ইভি বাজার কখনো চীনা ইভি গাড়ির চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় নি।
*ইভি গাড়ির বিরুদ্ধে মার্কিন রাজনীতিবিদদের নেতিবাচক মন্তব্য
সম্প্রতি মার্কিন অর্থমন্ত্রী ইয়েলেন চীনের ইভি গাড়ির ‘ওভার ক্যাপাসিটি’র সমালোচনা করেছেন,বস্তুত সংশ্লিষ্ট শিল্প মার্কিন সরকার ব্যাপক ভর্তুকি দিয়েছে। এ সম্পর্কে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মার্কিন সরকারের ভর্তুকি ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগ’,অন্যান্য দেশের ভর্তুকি ‘উদ্বিগ্ন অন্যায় প্রতিযোগিতা’।বিশ্বের কাছে মার্কিন পণ্যদ্রব্যের রপ্তানি ‘অবাধ বাণিজ্য’,তবে অন্যান্য দেশের পণ্যদ্রব্যের বিদেশে রপ্তানি ‘ওভার ক্যাপাসিটির’ প্রতিফলন।মার্কিন পক্ষের এমন মন্তব্য পুরোপুরি দ্বৈত নীতি।