প্রেসিডেন্ট পুতিনের চীন সফর শেষ
দ্বিতীয়ত, চালিকাশক্তি হিসাবে জয়-জয় সহযোগিতার নীতি মেনে চলে দু’দেশ।
তৃতীয়ত, চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তিতে যৌথভাবে চীন-রাশিয়া বন্ধুত্বের মশাল বহন করা। চতুর্থত, দু’দেশের অবশ্যই কৌশলগত সহযোগিতা মেনে চলবে এবং বিশ্বব্যাপী শাসনকে সঠিক দিকে নিয়ে যেতে হবে। উভয়পক্ষই দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক শৃংখলাকে রক্ষা করবে। পঞ্চমত, দু’দেশ ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচারের নীতি মেনে চলবে এবং উত্তপ্ত সমস্যাগুলোর রাজনৈতিক নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, রাশিয়া, চীনকে একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং নির্ভরযোগ্য সহযোগিতামূলক অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে এবং চীনের সাথে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করতে ইচ্ছুক, সফলভাবে ‘রাশিয়া-চীন সংস্কৃতি বর্ষ’ আয়োজন করতে এবং মানুষে মানুষে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরও গভীর করতে আগ্রহী। রাশিয়া এবং চীন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রাখে এবং আরও গণতান্ত্রিক বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দু’দেশ ব্রিকস, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এবং অন্যান্য কাঠামোর পাশাপাশি যোগাযোগ জোরদার করতে ইচ্ছুক।
ওই সন্ধ্যায় চৌং নানহাইয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ছোট আকারের বৈঠক করেছেন। সি চিনপিং বলেন, বর্তমানে বিশ্ব এক শতাব্দীতে অদেখা গভীর পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে। চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করে, বিশ্ব প্রশাসনকে সঠিক দিকে পরিচালিত করতে, যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করতে, বিশ্ব শান্তি ও অভিন্ন উন্নয়ন বেগবান করতে ইচ্ছুক। পুতিন বলেন, চীনের উন্নয়ন অপ্রতিরোধ্য। রাশিয়া, চীন এবং দক্ষিণের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করে, আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার বাড়িয়ে আরো সম ও বহুমেরুর পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ ছাড়া দুই রাষ্ট্রপ্রধান ইউক্রেন সংকট নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেছেন।